কলকাতা: বুধবার রাতে সল্টলেকের যুবক নিহতের ঘটনায় তাঁর বান্ধবী অনুশীলা চৌধুরীকেও গ্রেফতার করল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। শুক্রবার এই ঘটনায় গ্রেফতার হয় ফেসবুক ফ্রেন্ড অনুশীলা চৌধুরীর। পুলিশ সূত্রে খবর, রনি দত্তের সঙ্গে অনুশীলার সম্পর্কে থাকাকালীন ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় কোন্নগরের বাসিন্দা অরিজিৎ পাত্রের। এরপর অরিজিতের সঙ্গে অনুশীলার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তা নিয়েই অশান্তি চলছিল রনির ও অনুশীলার। বুধবার রাতে সেই অশান্তি চরমে ওঠে। এর জেরে রনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অনুশীলা এবং অরিজিৎকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে পুলিশের পক্ষ থেকে। গত বুধবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
২ নভেম্বর সল্টলেকের এফই ব্লকের একটি গেস্ট হাউসে রনি দত্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রনির দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর শরীরে ছিল একাধিক ক্ষতচিহ্নের হদিশ মেলে। চিৎকারের শব্দ শুনে গেস্ট হাউজের কর্মীরা বিধাননগর দক্ষিণ থানা খবর দেন। পুলিশ গেলে ঘরের ভিতর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় বেরিয়ে আসেন এক যুবতী। তারপরই ঘরের ভিতর থেকে রনির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রনিকে খুন করা হয়েছে, না কি পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েচে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে, রনির মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই বিধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের ভাই রকি দত্ত। তদন্তে নেমে গতকাল বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ হুগলির কোন্নগর থেকে গ্রেফতার করে অরিজিৎ পাত্রকে।