কলকাতা: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ (Primary Teacher Recruitement) প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা তৈরি হল। পার্শ্বশিক্ষক (Para Teacher) নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত (Jay Sengupta) নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্ট্যাটাস (Status) রিপোর্ট (Report) তলব করেছেন। ১০ জানুয়ারি রাজ্য সরকারের (State Government) রিপোর্ট জানত চেয়েছে আদালত। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Board) জানাল, ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত নিয়োগ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে না। বোর্ডের এই কথাতেই শিক্ষা মহল মনে করছে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ফের ধাক্কা খেতে পারে নতুন মামলার ফলে।
কী সেই নতুন মামলা?
গত ২১ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় (Avijit Gangopadhyayay) নির্দেশ দেন, প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকের (Upper primary) পার্শ্বশিক্ষকরা প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবেন। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কিছু পরীক্ষার্থী ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন সোমবার। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন পর্ষদ তাদের বক্তব্য পেশ করে।
আরও পড়ুন: SSC Fake Recruitement: ভুয়ো চাকরির তালিকায় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের ছেলে?
গত ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা (Written Test) হয়। সাত লক্ষেরও বেশি প্রার্থী পরীক্ষা (Exam) দেন। আগামিকাল প্রথম পর্যায়ের ইন্টারভিউ শুরু হবে। টেট নিয়োগ নিয়ে নানা দুর্নীতি (Corruption) সামনে আসায় গত পাঁচ বছর ধরে রাজ্যে টেট পরীক্ষা বন্ধ ছিল। সেই দুর্নীতির সিবিআই তদন্ত চলছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি এবং তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharjee) এই কেলেঙ্কারিতেই (Scam) অভিযুক্ত হয়ে জেল (Jail) খাটছেন। শুধু প্রাথমিকেই নয়. স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ নিয়েও ভূরি ভূরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কমিশনের প্রাক্তন সভাপতি বা চেয়ারম্যান (Chairman) সমেত একাধিক শিক্ষাকর্তা একই কারণে জেলে বন্দি। জেল খাটছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও (Partha Chatterjee)। নিয়োগের দাবিতে ধর্মতলায় চাকরিপ্রার্থীদের বিভিন্ন সংগঠন অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ ৬৫০ দিন, কেউ ১৫০ দিন ধরে অবস্থান করছেন। এই অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ১১ ডিসেম্বর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে অত্যন্ত কড়া ব্যবস্থার মাধ্যমে।