কলকাতা: অবসরের পর শিক্ষকদের বকেয়া পাওনা পেতে দেরি হওয়ায় প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) । অবিলম্বে সেই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে (West Bengal Government) দৃষ্টি দিতে বলল আদালত। আদালতে উপস্থিত জেলাশাসক (DM), শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকদের এই বিষয়ে দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিল হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা (Justice Raja Shekhar Mantha) বলেন, শিক্ষকদের বকেয়া পেতে কেন এত দেরি? শিক্ষকদের (Teacher) ক্ষেত্রে সরকারের আরও সচেতন (Conscious) হওয়া উচিত। শিক্ষকরা শিক্ষাদান করেন। এটা তাঁদের নোবেল কাজ। তাই তাঁদের অবসরের পর পাওনা আর্থিক সুবিধা পেতে বিলম্ব খুব দুঃখ জনক। এই বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
শুক্রবার বিচারপতি মান্থার এজলাসে চলছিল আদালত অবমাননার একাধিক মামলা। মূলত হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও আবেদনকারী বহু শিক্ষক তাঁদের বকেয়া আর্থিক সুবিধা (Facility) ঠিকমতো পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বিচারপতির নির্দেশে এদিন আদালতে হাজির ছিলেন বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক ও জেলাশাসক। তাঁদের উদ্দেশ্যে বিচারপতির মন্তব্য, কী করছেন আপনারা? আপনাদের এই আমলাতান্ত্রিকতা (ব্যুরোক্রেশি) (Bureaucracy) আদালত মানতে নারাজ। আপনাদের সরকারি বিভিন্ন বিভাগে (Department) ফাইল স্থানান্তরের জন্য শিক্ষকরা (Teachers) ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন না।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: স্বস্তি শুভেন্দুর, শিশু সুরক্ষা কমিশনের নোটিসে তিন মাসের স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
এদিন বিচারপতির নির্দেশে বহু শিক্ষকই তাঁদের বকেয়া আর্থিক পাওনা দ্রুত পাওয়ার আশ্বাস পেলেন। আদালতের নির্দেশে বিদ্যালয় পরিদর্শক (School Inspector) ও জেলাশাসকরা (DM) সেই আশ্বাস দিলেন আদালতে। আদালতে উপস্থিত বিদ্যালয় পরিদর্শক ও জেলাশাসকদের উদেশ্যে বিচারপতি (Justice) রাজা শেখর মান্থার বলেন, বছরের পর বছর তাঁদের কাছ থেকে পরিষেবা নিয়েছেন। আর বকেয়া আর্থিক পাওনা দেওয়ার সময় তাদের হেনস্থা করছেন কেন? কাল যখন আপনার সঙ্গে হবে তখন আপনি কী করবেন?
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় দেখা যায়, অবসর নেওয়ার পর অনেকে ঠিক সময়ে পেনশন বা অসবরকালীন সুবিধা পান না। বৃদ্ধ বয়সে অনেকের এজন্য সরকারি দফতরে ঘুরে সমস্যা পড়েন। তাঁদের অনেকেই এই বিষয়ে আদানতে মামলা করেছিলেন। আদালত সূত্রের খবর, সেই বিষয়ে মামলার প্রেক্ষিতে এদিন ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি।