কলকাতা: খড়গপুর আইআইটির (Kharagpur IIT) ছাত্র ফয়জান আহমেদের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি পুলিশকে (Police) চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha)। গত ১৪ অক্টোবর আইআইটি-র হস্টেলের ঘর থেকে ওই ছাত্রের (Student) দেহ উদ্ধার হয়। প্রথম থেকেই ফয়জানের পরিবারের অভিযোগ, তাদের ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে।
সোমবার ফয়জানের পরিবারের আইনজীবী রণজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, যে পরিমাণ রক্তপাত হয়েছে তাতে এই ঘটনা কোনও মতেই আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না। এই ঘটনায় চার মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এবার সিট গঠন করা হোক।
আরও পড়ুন: Vineet Kumar Goyal: কলকাতা শহরে পথ দুর্ঘটনা অনেক কমেছে, দাবি সিপি’র
জেলা পুলিশের এএসপি রানা মুখোপাধ্যায় আদালতে বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের কোনও ইঙ্গিত নেই। হস্টেলের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। পাশপাশি তিনি বলেন, ফেসবুক থেকে একটা পোস্টও ডিলিট করা হয়েছে। সেটা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, ফেব্রুয়ারিতে ফয়জান র্যা গিংয়ের স্বীকার হয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি মানসিক চাপে বিধ্বস্ত ছিলেন। ফয়জান প্যানিক অ্যাটাকে মারা যেতে পারে।
বিচারপতি জানতে চান, কি ভাবে মারা গেলেন ওই ছাত্র। তাঁর শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন ছিল? এএসপি বলেন, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। আইআইটি কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা দেখার জন্য আমরা এখনও চূড়ান্ত রিপোর্ট দিইনি। আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সহ অন্যান্য নথি তারা এখনও হাতে পায়নি। তার পরিপেক্ষিতে বিচারপতি বলেন, আপনাদের সেই নথি দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা করতে হবে। কারণ আপনাদের কিছু অফিসারের ভূমিকাও এখানে প্রশ্নের মুখে রয়েছে।
মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, আইআইটির কাউন্সেলরদের রিপোর্ট বলছে ফয়জান আত্মহত্যা করতে পারেন না। বিচারপতি এদিন পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ কেনও এত ধীর গতিতে কাজ করছে? আইআইটি তার মতো করে রিপোর্ট দেবে। তার দিকে কেন তাকিয়ে থাকবে পুলিশ? পুলিশ জানে না, কাকে ডাকতে হবে বা কার সাক্ষ্য নিতে হবে? কোর্ট তদন্ত শেখাচ্ছে না। ওটা পুলিশের কাজ। এটা মাথায় রাখা জরুরি।