কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে (TMC) সর্বদা আক্রমণ করে আসছে বিজেপি (BJP)। এই সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যকে তোপ দাগার পরেই পাল্টা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে (Dharmendra Pradhan) আক্রমণ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “ধর্মেন্দ্র প্রধানের (Dharmendra Pradhan) কাছে ব্যাখ্যা চাইব, শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে উত্তরপ্রদেশে ইডির অভিযান চলছে ৷ সেটা নিয়ে কি বলবেন? এ যাবৎ কালের বৃহত্তম দুর্নীতি। উনি আগে সেটা নিয়ে কথা বলুন। এখানে যাদবপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ভাল স্থানে। এখানে যে ভুল হয়েছে তার তদন্ত হয়েছে। বাংলায় ৯৯% ভাল কাজ হয়েছে। অন্যায় হলে শাস্তি হবে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “ধর্মেন্দ্র প্রধান আসলে শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে বাকি তৃণমূল কংগ্রেসকে বিচার করার চেষ্টা করছেন। মিড-ডে মিল সহ বাকি ক্ষেত্রে সরকার ভাল কাজ করছে। সেই কথা বোধহয় তিনি ভুলে গিয়েছেন।”
আরও পড়ুন:Dharmendra Pradhan: ‘শিক্ষাক্ষেত্র অশিক্ষায় পরিণত হয়েছে’, ধর্মেন্দ্র প্রধান
শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকেও এদিন আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)৷ বলেন, “দিব্যেন্দু অধিকারী তো তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ৷ তাঁর সঙ্গে কর্মীরা দেখা করতে চাইলে অসুবিধা কী আছে৷ উনি তা হলে প্রকাশ্যে বলুন না অন্য কোনও দলে আছেন৷ আগে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করুন উনি৷”
প্রসঙ্গত, শনিবার শিবরাত্রির দিন ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিতে এসে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ((Dharmendra Pradhan) রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের সব থেকে বড় অপরাধ, তারা সরস্বতীর পুণ্য ভূমিতে শিক্ষাকে কেন্দ্র করে সব রকম দুর্নীতি করেছে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, ওদের জন্য আসা মিড ডে মিলের টাকায় দুর্নীতি। পড়ুয়াদের জন্য যে বই-খাতা, জামা-কাপড় আসে তাতে দুর্নীতি। তাঁরা শিক্ষাকে দেবী মনে করেন না। বরং তোলাবাজি ও কাটমানির একটি উপায় মনে করে। বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না। তদন্ত চলছে, সব সামনে আসতে চলেছে।” ধর্মেন্দ্র প্রধানের এই মন্তব্যের পরই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন কুনাল ঘোষ।
 নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই এ নিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে (TMC) সর্বদা আক্রমণ করে আসছে বিজেপি (BJP)।){kind=link}