কলকাতা: রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পক্ষেই আছেন। কেবলমাত্র বামপন্থী কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরাই রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করছে। বামপন্থী রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটির (Coordination Committee) কাজকর্মকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের পাওনা এক লক্ষ কোটি টাকা। স্বভাবতই এই টাকা না পাওয়ার ফলে রাজ্য সরকারের পক্ষে একাধিক প্রকল্পে টাকা দিতে হচ্ছে। যার কারণে উন্নয়নের কাজে গতি কমছে। মোদি সরকারের বিরোধিতা করার কারণেই রাজ্য সরকারকে টাইট দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই ধরনের বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবুও রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের স্বার্থে তিন শতাংশ ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করেছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই আছেন। কেবলমাত্র বামপন্থী কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যরাই রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করছে।”
উল্লেখ্য, বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারী রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসগুলিতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারীরা। রাস্তায় নেমে আন্দোলনেও সামিল হন। এরই মাঝে বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বাজেট পেশ হয়। যেখানে অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মার্চ মাস সমস্ত সরকারি কর্মচারীরা অতিরিক্ত তিন শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাবেন বলে ঘোষণা করেন। অর্থ প্রতিমন্ত্রীর সেই ঘোষণায় খুশি হননি সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের বক্তব্য, বকেয়া ডিএ ৩৯ শতাংশ। সরকারি কর্মীদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩ শতাংশ।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতি ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। শনিবার রাজ্য (West Bengal ) সরকার এক নির্দেশিকায় (Guidelines) জানিয়েছে, ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি কোনও কর্মচারী (Employee) ছুটি নিতে পারবেন না। কোনও মতেই ওই দুদিন অনুপস্থিত হওয়া যাবে না। অনুপস্থিত হলে সার্ভিস ব্রেক বা ডায়াস নন হয়ে যাবে। একমাত্র কেউ হাসপাতালে ভর্তি হলে, পরিবারের কেউ মারা গেলে অনুপস্থিতি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।