Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাBratya Shashi PC | দল কারও দুর্নীতির দায় নেবে না, জানালেন ব্রাত্য-শশী

Bratya Shashi PC | দল কারও দুর্নীতির দায় নেবে না, জানালেন ব্রাত্য-শশী

Follow Us :

কলকাতা| কোনও নেতা-মন্ত্রীর দুর্নীতির দায় দল নেবে না বলে পরিষ্কার জানিযে দিল তৃণমূল (TMC)। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) এবং শশী পাঁজা (Shashi panja)। তাঁরা বলেন, দুর্নীতির দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেই নিতে হবে। তাঁদের দাবি, তৃণমূল কখনও দুর্নীতি বরদাস্ত করে না।একই সঙ্গে তাঁরা বিজেপি (BJP) এবং দুই কেন্দ্রীয তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED) এবং সিবিআইকে (CBI) আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল করে বলেই রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের টার্গেট করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

নাম না করে দুই মন্ত্রীই এদিন তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikarie) উদ্দেশে। তাঁরা বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে বহু রাজনৈতিক দলের অনেক নেতার নাম রযেছে। এরকম বহু নেতা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিধানসভার মধ্যেও কেউ কেউ হুমকি দিচ্ছেন। টিভির পর্দায তাদের হাতে করে টাকা নিতেও দেখা গিযেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কে্ন্দ্রীয় এজেন্সি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, হাত গুটিয়ে বসে আছে।

আরও পড়ুন:Congress Vs BJP | প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমা চাইতে হবে! রাহুলকে বিজেপির নিশানার পাল্টা দিল কংগ্রেস   

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বিধানসভায় পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট বিতর্ক চলার সময় দল বদল নিযে কথা ওঠে। বিরোধী দলনেতা দলবদলু দুই বিজেপি বিধায়ককে দেখিয়ে বলেন, ওঁরা কি বলতে পারবেন, বিজেপিতে আছেন না তৃণমূলে? ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে শুভেন্দুর কাজে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি বলতে পারবেন, শিশির অধিকারী কোন দলে আছেন। সেচমন্ত্রীকে পার্থ ভৌমিককেও একই কথা বলতে শোনা যায়। এতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন শুভেন্দু। তিনি পার্থকে এক মাসের মধ্যে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেন। তারপরই তেতে ওঠে বিধানসভা। শাসক ও বিরোধী দুই তরফই হল্লা জুড়ে দেয়। শেষে ওয়াকআউট করে বিজেপি।

মঙ্গলবার সেই প্রসঙ্গ তুলে শশী ওবং ব্রাত্য বলেন, বিধানসভায় (Assembly) হম্বিতম্বি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ইডি-সিবিআইকে কারা চালাচ্ছে। “ইডি বা সিবিআই কি কারও পৈতৃক সম্পত্তি? এটা কোনও কাজের পদ্ধতি নয়৷ কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি দুর্বল হয়ে গিয়েছে।যাকে খুশি গ্রেফতার করছে, সুপার ইমারজেন্সি চলছে দেশজুড়ে৷ তাদের আরও অভিযোগ, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিকত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷ ব্রাত্য-শশীর প্রশ্ন, শাসকদল হওয়াটা কি অপরাধ? তাঁরা বলেন, আমরা চাই দ্রুত তদন্ত শেষ হোক, সেই তদন্ত নিরপেক্ষ হোক। ভোট এলেই আমাদের আক্রমণ করা হয়। তবে এসব করে তৃণমূলকে দমিয়ে রাখা যাবে না। 

 

RELATED ARTICLES

Most Popular