কলকাতা: মে (Mey) মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের পরে গ্রামাঞ্চলে আর যেন কোনও কাজ বাকি না থাকে। জেলাশাসক, বিডিও, এসডিওদের বুধবার এমনটাই নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwibedi)। মুখ্যসচিবের আরও নির্দেশ, দুয়ারে সরকার (Duyare sarkar) ক্যাম্পের মাধ্যমে উপভোক্তাদের পরিষেবা যেন ২০ এপ্রিলের মধ্যেই শেষ করে ফেলা হয়। লক্ষীর ভাণ্ডার সংক্রান্ত অভিযোগগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে।
এদিকে উপভোক্তারা কোন কোন প্রকল্পে টাকা পাচ্ছেন, তা জানাতে এবার নয়া পদক্ষেপ করতে চলেছে নবান্ন। ঠিক হয়েছে, ব্যাঙ্কে টাকা ঢোকার সময় উপভোক্তারা যে এসএমএসগুলি পান, তাতে এবার সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কথা উল্লেখ করা হবে। এ ব্যাপারে অর্থ দফতর ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে কথা বলবে। মুখ্যসচিব বলেন, উপভোক্তারা টাকা পাচ্ছেন নিয়মিত। কিন্তু কোন প্রকল্পের টাকা, তা তাঁরা জানতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: Mid day Meal | রাজ্যে মিড ডে মিলে ১০০ কোটির দুর্নীতি, রির্পোট কেন্দ্রের জয়েন্ট রিভিউ মিশনের
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। জেলায় জেলায় পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। মূলত গ্রামাঞ্চলে রাস্তা, পানীয় জল এবং আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে খুব বেশি। দিদির দূত হিসেবে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সেই ক্ষোভের আঁচ টের পাচ্ছেন। বহু জেলায় তাঁদের গ্রামের মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। বুধবারও জলপাইগুড়িতে দিদির দূত হিসেবে গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইককে।
এর উপরে রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতি। তা নিয়েও রীতিমতো জেরবার শাসকদল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শীর্ষ নেতারা বারবার দাবি করছেন, তৃণমূল দুর্নীতির ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলে। দল দুর্নীতির সঙ্গে আপস করে না। দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে তৃণমূল ব্যবস্থা নেয়, যা অন্য কোনও দলে দেখা যায় না। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত যতই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ততই নিত্যনতুন তথ্য উঠে আসছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেখানে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের নাম জড়িয়ে পড়ছে। সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিতেই রয়েছে তৃণমূল।
এর আবহে সামনের পঞ্চায়েত ভোট তৃণমূলের কাছে এবার বড় চ্যালেঞ্জ।তাই বকেয়া কাজ দ্রুত সেরে ফেলার জন্য তৎপর হয়েছে নবান্ন। যাতে আর কোনও কাজ পড়ে না থাকে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিতে হচ্ছে মুখ্যসচিবকে।