কলকাতা: বগটুই মামলায় আদালতে স্বস্তি মিলল না সিবিআইয়ের। লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলায় তদন্ত করবে রাজ্য পুলিশই, সোমবার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও সিআইডির হাত থেকে তদন্ত গেল রাজ্য পুলিশের সিটের হাতে। এদিনই রাজ্যে কর্মরত আইপিএস প্রণব কুমারের নেতৃত্বে এক সপ্তাহের মধ্যে এই সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত আরও জানিয়েছে, এই সিটে থাকবেন রাজ্য পুলিশের আধিকারিক বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়। এমনকী আইপিএস প্রণব কুমার তাঁর পছন্দমতো বাকি আধিকারিকদের নিযুক্ত করতে পারবেন। যদিও বর্তমান তদন্তকারী আধিকারিকরা তদন্ত করবেন না বলেও জানিয়েছে আদালত।
একইসঙ্গে এদিন আদালত আরও জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমোদন ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করতে পারবে না সিট। নিম্ন আদালত ছাড়া আর কোথাও কোনও রিপোর্ট পেশ করতে হবে না সিটকে। সিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত সিআইডি কোনও তদন্ত করতে পারবে না। অন্যদিকে, সিবিআই আধিকারিকদের রক্ষাকবচ বহাল রাখল আদালত। যদিও তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে সিবিআইকে। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ।
গত ১২ ডিসেম্বর রামপুরহাটের পান্থশ্রী অতিথিনিবাসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে মৃত্যু হয় বগটুই কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় লালনের ঝুলন্ত দেহ। তারপর তদন্ত শুরু করে রাজ্য পুলিশ। সিবিআইয়ের সাত তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। পাশপাশি গরু পাচার মামলার তদন্তকারী দুই সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য ও স্বরূপ দে-র বিরুদ্ধেও দায়ের হয় এফআইআর। রাজ্য পুলিশের তদন্ত ও এফআইআরকে(FIR) চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। আগেই এই সাত আধিকারিককে রক্ষাকবচ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন সেই মামলারই রায়দান করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
আদালতের এই নির্দেশে খুশি লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবি। তিনি জানান, সিআইডি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর তদন্ত করছিল ঠিকই। তারপরেও সিট গঠন করে তদন্ত করার যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছে, তাতে আরও ভালো হল। সিট তদন্ত করলে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর কারণ ও দোষীদের শাস্তি হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি যে সাতজন সিবিআই আধিকারিকের বিরূদ্ধে হাইকোর্ট রক্ষাকবজ দিয়েছে তাতে খুশি নন রেশমা বিবি।