কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করল কলকাতা পুলিশ। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ছিল সেই মামলার শুনানি। মুখ্য বিচারক উত্তম কুমার সাউয়ের (Judge Uttam Kumar Sawyer) এজলাসে এদিন কলকাতা পুলিশ রিপোর্ট পেশ করে। শুভেন্দু অধিকারী টুইটে যে বাসের কথা উল্লেখ করেছিলেন, সেই বাস কেন ওই দিন সেখানে ছিল তারও ব্যাখ্যা দেয় পুলিশ রিপোর্টে।
গত ১৭ এপ্রিল শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে জানিয়েছিলেন, টাকা ভর্তি একটি বাস কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পুলিশ এসকর্ট করে পাচার করছেন। বাসের নম্বর উল্লেখ করে তিনি লিখেছিলেন, বাসটিকে কালীঘাটে ঢুকতে ও বেরতে দেখা যায়। শুভেন্দু ইডি, সিবিআইকে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে বলেন।
আরও পড়ুন:IPL 2023 | কোহলি-সংঘাতের প্রভাব! ধোনিদের বিরুদ্ধে ব্যাটিং বিপর্যয় গম্ভীরের দলের!
বুধবার শুভেন্দুর ওই অভিযোগ ঘিরে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা আনে। স্পেশাল সরকারি আইনজীবী নিযুক্ত করা হয়েছে এই মামলায়। এর প্রেক্ষিতে বুধবার আদালতে ওই আইনজীবী জানান, এই টুইটের পর পুলিশ কমিশনার ডিসি সাউথকে দিয়ে তদন্ত করিয়েছেন। কালীঘাট থানার ওসি এর প্রেক্ষিতে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। বুধবার বিচার ভবনের মুখ্য বিচারকের ঘরে শুনানি চলে। সরকারি আইনজীবী এই মামলার অভিযোগকারী। এদিন আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। জমা দেওয়া হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজও। পুলিশের দাবি, বাসটি রাজনৈতিক প্রচারের জন্য আনা হচ্ছিল। একনেতা জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। তাঁর ব্যবহারের জন্য বাসটি আনা হয়েছিল। সেখানে পুলিশ ছিল যান নিয়ন্ত্রের দায়িত্বে। সরকারি আইনজীবীর আরও দাবি, পুলিশের ভাবমূর্তি ইচ্ছাকৃত ভাবে নষ্ট করার জন্য এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ও এর আগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। সেই মামলাও এখন বিচারাধীন। শুভেন্দুর অভিযোগ, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের পর থেকেই তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা করেছে। অধিকাংশ মামলাতে সরকার হেরেছেও। তবু প্রতিহিংসার রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। তিনি বলেন, আসলে নন্দীগ্রামে আমার কাছে হেরে যাওয়াটা কিছুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেনে নিতে পারছে না।