কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Incidents) মামলার তদন্তে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশ ইউনিট বন্ধ করল সিবিআই। এই মামলায় ২৮ থেকে ৩০ জন সিবিআই অফিসার তদন্তে যুক্ত ছিল। সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে চলা ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে চারটি ইউনিট বন্ধ করল সিবিআই (CBI)। এবার থেকে এই মামলার তদন্ত করবে কলকাতার স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় প্রায় ২৮-৩০ জন আধিকারিক তদন্ত করছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই চারটি স্পেশাল ইউনিট গঠন করে। সেই ইউনিটই এ বার বন্ধের নির্দেশ দিল সিবিআই।
গরু পাচার, কয়লা পাচার, নিয়োগ দুর্নীতি, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা সহ একাধীক গুরুত্বপূর্ণ মামলার দায়িত্ব রয়েছে সিবিআইয়ের কাঁথে। এবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশ ইউনিট বন্ধ করল কেন্ত্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই মামলার তদন্তের ভার পড়েছে কলকাতার স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের উপর। সিবিআইয়ের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এত দিন চারটি ইউনিটের আধিকারিকেরা যে তদন্ত করেছেন, সেই সংক্রান্ত নথি স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের (এসসিবি)-র কাছে হস্তান্তরিত করতে হবে। এদিকে তদন্ত চলাকালীন মাঝ পথে বন্ধ করে দেওয়ায় মামলার উপর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন আধিকারিকদের একাংশ।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির ঘটনা (post-poll violence) সামনে আসে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, শাসক দল তৃণমূল এই হিংসার ঘটনা ঘটাচ্ছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। হাইকোর্টে মামলা হয়। এর তদন্তে সিট গঠনও করেছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশেই তদন্ত শুরু করে সিবিআই (CBI)। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছিল। একাধিক বার আদালতে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। এবার এই তদন্তে সমস্ত আধিকারিকদেরকে ডেকে নিল সিবিআই।