কলকাতা: রাজ্যে বনসহায়ক (Forest Department) পদে ২ হাজার চাকরির প্যানেল বাতিল নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এই বেঞ্চ মামলাটি শুনবে না। চাইলে অন্য বেঞ্চে মামলা করতে পারেন আবেদনকারীরা।
চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী বনসহায়ক পদে ২ হাজার জনের চাকরির প্যানেল অবৈধ বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি লোপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ ছিল, আগামী ২ মাসের মধ্যে পুরনো প্যানেল বাতিল করে ইন্টারভিউ নিয়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। নতুন প্যানেল প্রকাশ করে চাকরি দিতে হবে। বৃহস্পতিবার ওই মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি শুনতে রাজি হয়নি আদালত।
আরও পড়ুনFalta TMC-BJP Clash | নেতৃত্বের সঙ্গে ছবি তুলে পোস্ট, বেধড়ক মার বিজেপি কর্মীকে
আদালতের ওই নির্দেশমতো চলতি সপ্তাহে এই পদের জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অবকাশকালীন বেঞ্চে যান কয়েক জন কর্মী। তাঁদের আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, পুরনো প্যানেলে কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে সেখান থেকে অযোগ্যদের বার করে দেওয়া হোক। যোগ্যদের কেন নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে। তাই একক বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে বনসহায়ক পদে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু ক্রটির অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগে মামলা হয় হাইকোর্টে। মামলাকারীর দাবি, ত্রুটি সংশোধন না করে চাকরিতে নিয়োগ করেছিল রাজ্য। ওই মামলায় বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, আগের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে গলদ রয়েছে। এর পর তিনি নির্দেশ দেন, আবার নতুন করে ইন্টারভিউয়ের মধ্য দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার সময় দেওয়া হয় দু’মাস। পাশাপাশি, বন সহায়ক পদে ২ হাজার জনের নিয়োগের যে তালিকা তৈরি হয়েছিল, আগামী ২ মাস পর তা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয় পুরনো তালিকায় থাকা কারও নাম যদি নতুন তালিকা থেকে বাদ যায়, তা হলে তাঁর চাকরি বাতিল হতে পারে।