Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeকলকাতাব্যালট ছিনতাইয়ের মামলায় কমিশনকে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ

ব্যালট ছিনতাইয়ের মামলায় কমিশনকে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ

Follow Us :

কলকাতা: ব্যালট ছিনতাইয়ের একটি মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (West bengal state election Commission) নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে বলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সিঙ্গুরের (Singur) বেড়াবেড়ি এলাকার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) কোনও বেনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেছিল কমিশন। কিন্তু আদালতে পেশ করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই বুথে ভোট পড়েছিল ৫৬৯টি। কিন্তু বাক্স খুলে দেখা যায় ৫২৭টি ব্যালট। প্রথম এবং দ্বিতীয় প্রার্থীর মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান ৬। অথচ কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪২টি ব্যালট পেপার উধাও হয়ে গিয়েছে। পরে সেগুলি উদ্ধার হলেও তা গণনারক উপযুক্ত ছিল না। এই অবস্থায় কমিশনকে আদালতের নির্দেশ, ওই ভিডিও ফুটেজ নতুন করে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 

বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, সিঙ্গুরের নেতাজি জয়ন্তী পাঠাগার গণনা  কেন্দ্রের ছিনতাই হওয়া ব্যালটে কার সমর্থনে ভোট পড়েছিল,  কোন বাক্স থেকে তা ছিনতাই হয়েছিল,  সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা নিশ্চিত করা গেলে ভোটের ফলাফল জানা যাবে। ভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় কমিশন সিসিটিভি ফুটেজ দেখেনি। আদালতের নির্দেশ, যদি দেখা যায় মামলাকারীর পক্ষে ভোট পড়া ব্যালটই ছিনতাই হয়েছে তাহলে কমিশন নতুন করে নির্দেশিকা জারি করতে পারে। তিন সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি কমিশনকে বিবেচনা করতে হবে। প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি ১৩ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট গণনার সময় প্রায় ৪২ টি ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে মামলা করেন নির্দল প্রার্থী দীপঙ্কর ঘোষ। সেই মামলাতে ইতিমধ্যেই ওই বুথের ভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। 

আরও পড়ুন: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত, ঝেপে বৃষ্টি কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে, কী জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস 

সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিচারপতি সিনহা বলেন, ফুটেজে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু, কার ব্ষালট ছিনতাই হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, তিনি ১৯৬ টি ভোট এবং তৃণমূল প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ১৯৫ টি। যে ৪৪টি ব্যালট বাতিল বলা হচ্ছে,, সেগুলি মামলাকারীর পক্ষের ভোট। আইনজীবীর দাবি, পুলিশ যেসব ব্যালট উদ্ধার করেছে সেগুলি আদালতে পেশ করা হোক। সরকারি আইনজীবী জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারগুলির হাল এতই খারাপ যে সেখানে কোন পক্ষে ভোট পড়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না। 
 বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে সরকারি আইনজীবী জানান, বিডিওর রিপোর্টের ভিত্তিতে কমিশন ভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিচারপতি জানান, কত ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়েছে বিডিও রিপোর্টে সেই সংখ্যার কথা বলা নেই। শুধু বলা হয়েছে, একগুচ্ছ ব্যালট উদ্ধার হয়েছে। তিনি আরও জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কি না তা জানতে হবে। তাহলেই কোন ব্যালট ছিনতাই হয়েছে তা পরিষ্কার বোঝা যাবে। 

RELATED ARTICLES

Most Popular