কলকাতা: খড়গপুর আইআইটিতে (IIT Kharagpur) ছাত্র খুনের (Student Death) ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হল প্রবীণ আইপিএস কে জয়রামণের (K Jayaraman IPS) নেতৃত্বে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ছাত্র খুনের কুল কিনারা করতে প্রয়োজনে নার্কো অ্যানালাসিস টেস্ট (Narco Test) করাতে পারবে। আগামী ১৪ জুলাই এর মধ্যে আদালতে ওই কমিটিকে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে।উল্লেখ এর আগে ফরেন্সিক এক্সপার্ট অজয় গুপ্তর রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে যে ফাইজনকে আসলে খুন করা হয়েছে। তাঁর মাথায় লাগা গভীর আগাতের চিহ্ন প্রথম ময়না তদন্তে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছিল।এরপরই দ্বিতীয়বার ময়ান তদন্ত করে ফাইজানকে যে আসলে খুন করা হয়েছিল সেই বিষয়টি স্পট হয়।
ছাত্র খুনের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং প্রথম ময়না তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে তথ্য এবং নথি লোপাটের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করার আবেদন জানায় ফাইজানের পরিবার।কিন্তু বিচারপতি মান্থা বলেন, আদালত এখন এই ইস্যুতে ঢুকতে নারাজ।পরে আরও একটি নতুন তদন্তকরী সংস্থা গঠন করা হবে, তাঁদের উপর তথ্য প্রমান লোপাটের তদন্তের ভার দেওয়া হবে।এদিকে, দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের পর ২১ দিন কেটে গেছে কিন্তু এখনও ফাইজানের দেহ অসমে ফেরত পাঠানো হয়নি। সেই নিয়েই এদিন আদালতে অভিযোগ করেন মৃতের পরিবার।
এরপর রাজ্যের তরফের আইনজীবী সম্রাট সেন বলেন, রাজ্য ময়না তদন্তের রিপোর্ট ফের খতিয়ে দেখতে চায়। সেই জন্য আদালতে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার দাবি জানান।কিন্তু বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, নতুন মেডিক্যালে বোর্ড গঠন করার কোনও প্রয়োজন নেই।দ্বিতীয় ময়না তদন্তে খুনের ইঙ্গিত আছে। এরপরের যা করার সেটা নতুন তদন্ত দলের থেকে প্রস্তাব এলে তবেই হবে।
আদালতে এদিন কেন্দ্রীয় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর জানান, ল্যাবটরিতে যথেষ্ঠ ফরেনসিক এক্সপার্ট নেই।যার কারণে প্রথম ময়না তদন্তের রিপোর্ট এবং দ্বিতীয় ময়না তদন্তের রিপোর্ট দুটি মিলিয়ে দেখার সময় হচ্ছে না।এদিকে আইআইটির তরফের আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র আদালতের কাছে দ্বিতীয় ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখতে চায়।যার উত্তরে বিচারক আইনজীবকে বলেন, আইআইটি বা তার কিছু অফিসার এই ঘটনায় অন্তত আংশিক অভিযুক্ত। তাই দ্বিতীয় ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখন দেওয়া সম্ভব নয়। চার্জ সিট জমা পড়ার পরে রিপোর্ট দেওয়ার বিষয়টা ভাবা যাবে। এরপর আইআইটির তরফের আইনজীবী পাল্টা প্রশ্ন করেন, সবাই যদি পেতে পারে তাহলে আইআইটি কেনো নয়? পুলিশের ওয়েবসাইটে পি এম রিপোর্ট আপলোড থাকে। সেখান থেকে নামিয়ে নেওয়া যায়। এরপর কোর্টের তরফে জান্নাত হয়, ডিরেক্টর সিএফএসএল যেহেতু জানিয়েছেন যে দুটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এই মুহূর্তে মিলিয়ে দেখার এক্সপার্ট নেই, তাই ওই রিপোর্ট এখনই দেওয়া যাবে না।