কলকাতা: এবার ববিতা সরকারের (Babita Sarkar) চাকরি বাতিলের দাবি উঠল। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই দাবি করে মামলার আবেদন করলেন আর এক চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায় (Anamika Roy)। বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) মামলার অনুমতি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (justice Abhijit Ganguly) নির্দেশে ববিতা চাকরি পেয়েছেন। মঙ্গলবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে বসেননি। তাই বিচারপতি সিনহার এজলাসে আবেদন করেন অনামিকা। আদালত সূত্রের খবর, মামলার শুনানি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসেই হবে।
কোচবিহারের বাসিন্দা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে চাকরি পান। নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসার পর দেখা যায়, ববিতাকে টপকে অঙ্কিতাকে চাকরি দেওয়া হয়। তা ছাড়া মন্ত্রী-কন্যা পার্সোনালিটি টেস্টেও বসেননি। পরে ববিতা মামলা করেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে অঙ্কিতার চাকরি বাতিল হয়। তিনি আরও নির্দেশ দেন, এতদিন অঙ্কিতা যে বেতন পেয়েছেন, তা ববিতাকে দিতে হবে। এখানেই শেষ নয়। আদালত আরও বলে, অঙ্কিতার জায়গায় ওই স্কুলেই চাকরি পাবেন ববিতা।
আরও পড়ুন: Primary Teachers affidavit in HC: চাকরি যাওয়া আরও ৮৮ প্রাথমিক শিক্ষক হলফনামা জমা দিলেন
সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, ববিতা স্নাতক পরীক্ষায় ৮০০-র মধ্যে ৪৪০ বা ৫৫ শতাংশ পেয়েছেন। কিন্তু আবেদনে তিনি ৬০ শতাংশ পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়। এর ফলে অ্যাকাডেমিক স্কোরে তিনি ৩৩ পেয়ে যান। অথচ ববিতার পাওয়ার কথা ৩১। অনামিকার দাবি, ববিতার জায়গায় তাঁর চাকরি পাওয়ার কথা। এই দাবি জানিয়েই তিনি মামলা করার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, ববিতার চাকরি বাতিল করতে হবে।
ববিতা আগেই জানান, ভুল তাঁর নয়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের। তিনিও আদালতে গিয়েছেন এসএসসির নিয়োগ স্বচ্ছ করার দাবি নিয়ে। ববিতা বলেন, প্রয়োজনে আমি চাকরি ফিরিয়ে দেব। কমিশন সূত্রের খবর, অ্যাকাডেমিক স্কোরের ক্ষেত্রে বিস্তর অনিয়ম হয়েছে। কারও নম্বর বেড়েছে, কারও নম্বর কমেছে।