কলকাতা: ছাত্রনেতা আনিস খান মামলায় সিবিআই তদন্তে চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল পরিবার। বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভবনা থাকলেও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তা পিছিয়ে দিল। আগামী ২৪ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
১১ জুলাই, সোমবার, আনিস কাণ্ডের ১৪৪ দিন পরে উলুবেড়িয়া আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিট। চার্জশিটে নাম রয়েছে আমতা থানার তৎকালীন ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী, এক এএসআই, এক হোমগার্ড এবং দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার৷ চার্জশিটে অনিচ্ছাকৃত খুন বা ৩০৪এ ধারার পাশাপাশি ১২০বি, ৩৪১, ৩৪২ এবং ৪৫২ ধারার উল্লেখ রয়েছে৷ রাজ্য পুলিসের বিশেষ তদন্তকারী দল চার্জশিটে বলেছে, খুন হননি আনিস৷ কোনও ভাবে পড়ে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷
প্রথম থেকেই আনিসকে খুনের অভিযোগ করে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে আনিসের বাবা সালেম খান। ফলে সিটের পেশ করা চার্জশিট একে বারেই মানতে নারাজ পরিবার। তাঁদের দাবি, আনিসকে খুন করা হয়েছে। এরপরেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে ডিভিশন বেঞ্চে যায় আনিস খানের পরিবার। আজ, বুধবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও শুনানির তারিখ পিছিয়ে দিল আদালত।
আরও পড়ুন- Sealdah Metro Station: শিয়ালদহ মেট্রো: বুদ্ধদেবের কৃতিত্ব কাড়তে চাইছেন মমতা, কটাক্ষ অধীরের
১৮ ফেব্রুয়ারি আমতার দক্ষিণ খাঁন পাড়ায় রহস্যমৃত্যু হয় ছাত্রনেতা আনিস খানের। আনিসের বাবা সালেম খানের অভিযোগ ছিল, ঘটনার দিন পুলিস এবং সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক পরা চার জন তাঁদের বাড়িতে এসেছিল। পুলিসের পোশাক পরা একজন তাঁর দিকে বন্দুক তাক করে একটি ঘরে আটকে রাখে। বাকি তিনজন সোজা বাড়ির ছাদে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ওই তিন জন নেমে এসে বন্দুকধারীকে জানায়, কাজ হাসিল হয়ে গিয়েছে।
এর পরই ওই চারজন আনিসের বাড়ি থেকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর বাড়ির সামনে আনিসকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে। ঘটনার দু’দিন পরই মুখ্যমন্ত্রী সিট গড়ার কথা ঘোষণা করেন। তার পর থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিট।