কলকাতা: জিনজিরিয়া বাজারের সামনে থেকে বাটার মোড় কমবেশী ৭ কিলোমিটার রাস্তা। এই কয়েক কিমি রাস্তা পার হতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়। ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে কখনও ৪ ঘন্টাও সময় লেগে যায়। কারণ, রাস্তার বেশীরভাগ জায়গাই রাস্তা না বলে ছোটখাটো জলাশয় বললেও অতুক্তি হবে না। মানুষ প্রতিদিন প্রাণ হাতে নিয়ে ওই রাস্তায় চলাচল করে। অবশ্য সম্প্রীতি ব্রিজের উপরের নয়, নিচের রাস্তার কথাই বলা হচ্ছে।
ব্রিজের উপর ভারী গাড়ির চলাচল মানা। অপরদিকে বজবজের অবশিষ্ট কিছু জুটমিলের বড় গাড়ি, সিইএসসি প্লান্টের বড় গাড়ি, বজবজের ইন্ডিয়ান ওয়েল থেকে পেট্রল সামগ্রী নেওয়ার ট্যাঙ্কারের যাতায়াতের একমাত্র পথ এই বজবজ ট্রাঙ্ক রোড। প্রতিদিন কয়েক হাজার ভারী গাড়ির পাশাপাশি বজবজ, চড়িয়াল, পূজালি, সাতগাছিয়া, নুঙ্গি, মহেশতলার লক্ষ লক্ষ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা যা বর্তমানে মরণ ফাঁদ।
এলাকার মানুষের অভিযোগ সম্প্রীতি ব্রিজ তৈরি হলেও বড়বড় গাড়িগুলি যাতায়াতের জন্য বজবজ ট্রাঙ্ক রোডকেই ব্যাবহার করে। সম্প্রীতি ব্রিজের জলের কোনও আউটলেট না থাকায় জল জমা হয় রাস্তায়। আর তাতেই পিচ ধুয়ে মুছে সাফ। তৈরি হয় মরণ ফাঁদ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এমন কোনও দিন যায় না যেদিন এই রাস্তায় কোনও গাড়ি ওল্টায় না বা কোনও একজন বাইক আরোহী গর্তে পড়ে আহত হন না।
পরিবারের কোনও সদস্য ঘরে না ফেরা পর্যন্ত চিন্তায় থাকে তাদের বাড়ির লোকেরা। মনে প্রশ্ন ওঠে, ঘরের মানুষ ঠিকঠাক ভাবে ফিরবে তো ওই মরণ ফাঁদের রাস্তা পার করে। মানুষের এই সমস্যা নিয়ে আজ রবিবার বাটা মোড়ে সিপিএমের বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তাদের দাবি, জোড়াতাপ্পি দিয়ে নয়, সমস্যার স্থায়ী সমস্যার সমাধান করতে হবে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।