বেহালা: বেহালা ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় বহিষ্কার করা হল ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব সভাপতি বাপান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গত দেড়দিন ধরে বাপানের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। যদিও এখনও অধরা রয়েছে অভিযুক্ত।
বৃহস্পতিবার বেহালা পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের বেশকিছু মহিলারা এসে বিক্ষোভ দেখান। ওই মহিলাদের বক্তব্য, বাপান কোনও অন্যায় করেনি। তাঁকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে রত্না চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই ঘটনা দেখেছেন। বাবান যদি আত্মসমর্পণ না করে তাহলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।
মঙ্গলবার রাতে বেহালা পূর্ব বিধানসভার চড়কতলা এলাকা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। রাত ১০টা নাগাদ ওই গোলমালে প্রায় ৮ রাউন্ড গুলি চলে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাঁরা জানান, বাপান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের একদল দুষ্কৃতী এই তাণ্ডব চালায়। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূলের পার্টি অফিস। বেশ কিছু গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। চলে ইট বৃষ্টি।
আরও পড়ুন- Adhir On Governor: রোজ রোজ জ্ঞান দিচ্ছেন, রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ অধীরের
এর জেরে আহত হয় প্রায় ১০ থেকে ১২ জন। এলাকার কয়েকজন মহিলাও আক্রান্ত হন। বেশ কিছু দোকান, সাধারণ মানুষের গাড়ির কাচ, বাড়ির জানালার কাচ ভাঙা হয় বলেও অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা বুবাই চক্রবর্তীর অভিযোগ, মূলত এলাকা দখল ও তোলাবাজি টাকা ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিষয়টি এলাকার কাউন্সিলর-সহ তৃণমূল নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।
