কলকাতা: এখনও বিচার ব্যবস্থা আছে। চিন্তা করবেন না। আপনি উপযুক্ত বিচার পাবেন। বকেয়া বেতন সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন ৭৬ বছরের প্রবীণের উদ্দেশ্যে মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
হাওড়ার বাগনানের শ্যামপুর হাইস্কুলের বাংলা শিক্ষিকা ছিলেন শ্যামলী ঘোষ। যার বর্তমান বয়স ৭৬। অভিযোগ বাম জমানায় ১৯৮১ থেকে ২০০৫ তৎকালীন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বিদ্যালয়ে আসতে বাধা দেয়। তিনি বারবার অনুরোধ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। ২০০৫ সালের নভেম্বর মাসে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
যেহেতু তিনি ১৯৮১ থেকে ২০০৫ বিদ্যালয় চাকরি করতে পারেননি তাই তার বেতন ও পেনশন আটকে দেওয়া হয়। পেনশনের জন্য তিনি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ২০১৩ সালে বিচারপতি অশোক কুমার দাস অধিকারী নির্দেশ দেন অবিলম্বে তার পেনশন দিয়ে দিতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৩ সাল থেকে তিনি পেনশন পেতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন Coal Scam: জেলেই থাকতে হচ্ছে কয়লা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকে, নির্দেশ সিবিআই আদালতের
বকেয়া থেকে যায় তার ১৯৮১ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত বেতন। শ্যামলীদেবী ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানি চলাকালে সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, আপনারা একটু দেখুন ৭৬ বছরের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা যিনি সমাজ গড়ার কাজে নিযুক্ত ছিলেন আজ তাকে বেতনের জন্য দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে! আদালতের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন সরকারি আইনজীবী। এরপরই আদালত স্কুল কর্তৃপক্ষ ও রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে কেন তিনি বেতন পাননি তা হলফনামার মাধ্যমে আদালতকে জানাতে হবে ২১ এপ্রিলের মধ্যে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শ্যামলীদেবীর উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন, যান আপনাকে আর দরজায় দরজায় ঘুরতে হবে না আপনি নিশ্চিন্তে ফিরে যান আপনার বকেয়া বেতন পাবার জন্য আদালত সর্বতোভাবে আপনাকে সাহায্য করবে। মনে ভরসা নিয়ে হাইকোর্ট ছাড়লেন শ্যামলী দেবী