কলকাতা: নারকেলডাঙায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে গেলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সোমবার সকালে ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত অভিজিতের বাড়িতে গিয়ে তাঁর দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা। এর পর তাঁকে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের অফিসে নিয়ে আসা হয়।
ভোটের ফল প্রকাশের দিন অভিজিৎ সরকারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। বিজেপির অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎকে বেধড়ক মারধর করেন৷ গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, গলায় তার পেঁচিয়ে ও পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় অভিজিৎকে। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বুথ কর্মী অভিজিৎ বিজেপি-র ট্রেড ইউনিয়নের নেতা ছিলেন।
অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার সেদিন বলেছিলেন, নির্বাচনে তৃণমূলের জয়লাভের পরই এলাকার বিধায়ক পরেশ পালের নির্দেশে ভাইকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ পরেশ পালের অনুগতরাই এই কাণ্ড ঘটান। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান৷ চিকিৎসকরা সেখানে তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন৷ এই ঘটনায় তৃণমূল-বিজেপি ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর দেহ ফের ময়নাতদন্ত, নির্দেশ হাইকোর্টের
ভোট-পরবর্তী অশান্তিতে রাজ্যে খুন এবং ধর্ষণ মামলার তদন্ত ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশ পাওয়ার পরেই দিল্লিতে তৎপর হয়ে উঠেছে সিবিআইয়ের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এরই মধ্যে তারা নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করে তদন্তকারী অফিসারদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে ফেলেছে। সোমবার থেকে তদন্তের কাজ শুরু করল সিবিআই।
তদন্তের স্বার্থে এবং তদন্তের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ৪টি জোন ভাগ করেছে সিবিআই। সেগুলি হল কলকাতা, উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ এবং পশ্চিমাঞ্চল। ৪টি জোনের তদন্তের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে জয়েন্ট ডিরেক্টর। তদন্তের গতি প্রকৃতি প্রতিনিয়ত দিল্লিতে পাঠাবেন তারা। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট। সেই কারণে দ্রুততার সঙ্গে তদন্তের কাজ শেষ করতে চান সিবিআই কর্তারা।
আরও পড়ুন: ভোট-পরবর্তী অশান্তির তদন্তে কলকাতায় সিবিআইয়ের ৪ জয়েন্ট ডিরেক্টর
ভোট-পরবর্তী অশান্তিতে খুন এবং ধর্ষণ ছাড়া অন্যান্য ঘটনাগুলি তদন্ত করে দেখবে রাজ্য সরকার গঠন করা সিট। সিটের দায়িত্বে রয়েছেন আইপিএস কর্তা সৌমেন মিত্র, রণবীর কুমার এবং সুমন বালা সাহু। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।