কলকাতা : দুই নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে দমদমে ধুন্ধুমার। বৃষ্টি কমলেও রাজ্যের একাধিক এলাকা এখনও জলমগ্ন। ল্যাম্প পোস্টের তার খোলা। বান্ধবনগরে কার্যত মৃত্যু ফাঁদ। বান্ধবনগরের দুই নাবালিকার মর্মান্তিক মৃত্যু। টিউশেনর জন্য বোরিয়ে রাস্তায় লাইটপোস্টে হাত দিতেই ঘটে বিপত্তি। আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে অনুষ্কা নন্দী ও তার বান্ধবী শ্রেয়া বণিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ঘরের মেঝেতে এখনও হাঁটুডোবা জল। খাটের উপর ছড়িয়ে বই-খাতা-ইউনিফর্ম। প্লাস্টিকে পুজোর নতুন জামাও কেনা। ঠিক ছিল অষ্টমীতে পড়বে সে। কিন্তু তা আর হল কোথায়। বিদ্যুতের তার কেড়ে নিল দুটি তরতাজা প্রাণ।
আরও পড়ুন : ভোটের দিন বেতনসহ ছুটির বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকারের

তাদের মৃত্যুর ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এই প্রেক্ষিতে সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য, কেন বৃষ্টির দিনে বেরলেন দুই ছাত্রী! জলমগ্ন থাকার সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু কেন ? আমরা যাই করি না কেন, দুই ফুটফুটে শিশুকে তো ফেরাতে পারব না। সব জায়গায় জলবন্দি অবস্থা। কী করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হল, তা খতিয়ে দেখা হবে। ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে মৃতের পরিবারদের। সদ্য সন্তানহারা মা ডুকরে কেঁদে বলেন, কোনও ক্ষতিপূরণ চাইনা তাঁদের। পাশাপাশি ক্ষোভ উগরে দেন সাংসদের মন্তব্যে। এদিকে মৃত ছাত্রীর বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন এলাকার কাউন্সিলর। মর্মান্তিক এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।