কলকাতা: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। রেশন দুর্নীতি (PDS Scam) কাণ্ডে শুক্রবার সকাল ৭টা নাগাদ সন্দেশখালির তৃণমূল (TMC) নেতা শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) বাড়িতে তল্লাশি করতে উন্মত্ত জনতার রোষের মুখে পড়েন ইডির পাঁচ আধিকারিক। তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় গাড়িতেও। কোনওমতে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরতে পেরেছেন ইডির আধকারিকরা।
এদিন সন্ধেয় সংবাদমাধ্যমকে ইডি-র তরফে জানানো হয়, শাহজাহানের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় আধিকারিকদের ঘিরে ধরে ৮০০ থেকে ১০০০ জনতা। ইডি-র দাবি, তাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রাণ নেওয়া কারণ উন্মত্ত জনতার হাতে ছিল লাঠি, ইটপাথর। সঙ্গে সিআরপিএফ জওয়ানরা থাকলেও মারমুখী জনতার সামনে তাদের কিছুই করার ছিল না। তিনজন ইডি আধিকারিক গুরুতর আহত হয়েছেন, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইডি যাঁর খোঁজে গিয়েছিল সন্দেশখালি তাঁর হাজিরা দেওয়া উচিত বললেন বিচারপতি
ইডি আরও জানিয়েছে, তাদের আধিকারিকদের ব্যক্তিগত এবং অফিসিয়াল জিনিসপত্র যেমন মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, টাকাপয়সা, টাকার ব্যাগ হাওয়া হয়ে গিয়েছে। এই চুরিচামারি কখনও হল তা নিয়ে ধন্দে ইডি, ওই পরিস্থিতিতে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর চেয়ে প্রাণ নিয়ে পালানো শ্রেয় ছিল। উন্মত্ত জনতার একাংশ দাবি করে, তারা শাহজাহানের অনুগামী।
এদিকে বাংলার বুকে এই ঘটনা গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলার শাসকদলকে তুমুল আক্রমণ করেছে কেন্দ্রের শাসকদল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং (Giriraj Singh) বলেছেন, “বাংলায় গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। মনে হচ্ছে ওখানে কিম জং উনের সরকার চলছে। অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, খুন হলে সেটাও নতুন কিছু হবে না। এটাই হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গণতন্ত্র।”