কলকাতা: ফের শহর কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল মা-মেয়ের। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electocuted) জামাইকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন শাশুড়ি। তাঁদের শক খেতে দেখে এগিয়ে যান মেয়ে। শেষমেশ বিদ্যুতের তীব্র প্রবাহে মৃত্যু (Death)হল মা-মেয়ের। তবে জামাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় এক নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ৩৭/২ডি একবালপুরের লেনে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃতদের নাম মুনতাহা বেগম (৬৪) ও খাইরুলন্নেসা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, একবালপুর লেনের বাসিন্দা ইজহার আখতার। স্ত্রী খায়রুলন্নেসার সঙ্গে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন তিনি। এদিন সকালে নিজের বাড়ির দেওয়াল থেকে ঝুলতে থাকা একটি লোহার তারে ভিজে জামাকাপড় মেলতে যান ইজহার। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। জামাইকে ওই অবস্থায় দেখে ছুটে যান বছর চৌষট্টির মুন্তাহা বেগম। তড়িদাহত হন তিনিও। আর মাকে তারে ঝুলতে দেখে ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন মেয়েও। তাঁরও একই অবস্থা হয়। তাঁদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হন। কোনও রকমে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ইজহারকে পাঠানো হয় স্থানীয় এক নার্সিংহোমে। মুন্তাহা বেগম ও খায়রুলন্নেসাকে পাঠানো হয় এসএসকেএমে। চিকিৎসকরা তাঁদের দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:Mother’s Day | Jalpaiguri | মায়ের পা ধুইয়ে পুজো করল কচিকাঁচারা, মাতৃদিবসে স্কুলে অভিনব কর্মসূচি
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে একবালপুর লেনে পৌঁছয় সিইএসসি-রএকটা দল। তাদের প্রাথমিক অনুমান, কোনওভাবে ওই লোহার তারে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছিল, যা বোঝা যায়নি। এরপর তারটি ভিজে কাপড়ের সংস্পর্শে আসায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। কীভাবে পাঁচিলের কাছাকাছি চলে এসেছিল হাইভোল্টেজ তার, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। খোলা তার নিয়ে একাধিকবার সিইএসসি-কে সতর্ক করা হয়েছে। তারপরও একবালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় স্পষ্ট, সিইএসসি ততটা সতর্ক নয়।