skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
HomeCurrent Newsকাঁকুলিয়ায় রহস্যময় জোড়া-খুন, কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে টানাপোড়েন

কাঁকুলিয়ায় রহস্যময় জোড়া-খুন, কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে টানাপোড়েন

Follow Us :

কলকাতা: সম্পত্তি নিয়ে আর্থিক গোলমালের জেরেই কি কাঁকুলিয়া রোডের জোড়া খুন? কেননা মালিক সুবীর চাকি ৭৮/ এ কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়িটি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন। একাধিক ক্রেতার সঙ্গেই তাঁর কথাবার্তা চলছিল। কোটি টাকার উপরে দাম রেখেছিলেন খুন হয়ে যাওয়া সুবীর চাকি। রবিবারও বাড়ি বিক্রির কাজেই কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়িতে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন গাড়ির চালক রবিন মণ্ডল। এরপর কী ঘটল?

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে, খুন নিশ্চিত করতেই দেহের একাধিক জায়গায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। দু’টি মৃতদেহেই অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলা, ঘাড়, কনুই, কবজি, গোড়ালি এ রকম বহু জায়গায় ধারাল কিছু দিয়ে আঘাত করেছে দুষ্কৃতী। আঘাতের ধরন দেখে পুলিশ মনে করছে যে কাঁকুলিয়া রোডে খুনের ঘটনায় একাধিক দুষ্কৃতীও জড়িত থাকতে পারে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক দল।

ঘটনাস্থলে পুলিশ আধিকারিকরা নিজস্ব চিত্র৷

কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়ির এক তলায় একটি অফিসও আছে। কনসালটেন্ট অফিস। সেখানকার এক কর্মী সমর চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলে কলকাতা টিভি ডিজিটাল টিম। তাঁর দাবি, অফিসের দিকের অংশটির সঙ্গে মূল বাড়ির কোনও যোগাযোগ নেই। অর্থাৎ অফিসের দরজা একেবারে আলাদা। তবে ইদানীং বেশ কিছু লোকজন যে বাড়িটি দেখতে আসছিল তা সমর চক্রবর্তীর কথায় পরিস্কার। রবিবার অফিস বন্ধ ছিল, তাই কারা কারা এসেছিলেন, কখন এসেছিলেন তা এক তলার অফিসের কেউ বলতে পারেননি। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে রবিবার রাতেই এলাকার সিসিটিভি সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন-পুজোর পর করোনা বৃ্দ্ধি শহরে, ছুটি বাতিল কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের

রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ নিউ টাউনের বাড়ি থেকে কাঁকুলিয়া রোড রওনা দেন সুবীর চাকি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর গাড়ির চালক রবিন। বাড়ি না ফেরায় তাঁর স্ত্রী বারবার ফোন করেন। ফোন বেজে বেজে এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই বাড়ির লোকজন কাঁকুলিয়া রোডেরই এক আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি গড়িয়াহাট পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে যান। পুলিশ মৃত অবস্থায় সুবীর চাকি এবং তাঁর চালক রবিন মণ্ডলের দেহ উদ্ধার করে।

RELATED ARTICLES

Most Popular