কলকাতা : শহরের বড়বাজার অঞ্চলটি ব্যবসায়ীদের কাছে স্বর্গরাজ্য। এই অঞ্চলে পোস্তার কাছে ২০ নম্বর কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিটে রাস্তার উপরে একটি ছোট কালী মন্দির রয়েছে। মন্দিরটি খুবই প্রাচীন। মন্দিরটি হল পুঁটে কালী মন্দির। মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত দেবী মূর্তিটির উচ্চতা মাত্র ছয় ইঞ্চি।
কালী মূর্তিটি খুবই ছোট, তাই সকলে এটিকে পুঁটে কালী বলে ডাকে। কিন্তু অন্য আর একটা ইতিহাস রয়েছে এই মন্দিরকে ঘিরে।
আরও পড়ুন : কলকাতার পর ‘বুর্জ খলিফা’-র মায়াবী আলোয় সেজেছে জলপাইগুড়ি
সেই সময় খেলারাম বন্দ্যোপাধ্যায় নামক একজন তন্ত্রসাধক ছিলেন। কোনও এক সময় মন্দির লাগোয়া একটা খাল ছিল। খালটি দিয়ে গঙ্গার ধারা বয়ে যেত। তন্ত্রসাধক খেলারাম একদিন মন্দিরের সামনে বসে হোমযজ্ঞ করছিলেন। সেই সময় খালটি থেকে একটা পুঁটি মাছ হঠাৎ লাফিয়ে এসে হোমাগ্নিতে পড়ে।সাধক হঠাৎ ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় প্রথমে চমকে ওঠেন। তিনি পরে পোড়া মাছটিকে হোমের আগুন থেকে তুলে খালের জলে ফেলে দেন। দেবীর কৃপায় অলৌকিকভাবে মাছটি তার প্রাণ ফিরে পায়। সেই থেকে এই দেবী মূর্তি পুঁটি কালী বলে পরিচিতি পায়। পরবর্তী সময় লোকমুখে প্রচার হতে হতে পুঁটি হয়ে যায় পুঁটে।