কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-সি (SSC Group C recruitment) নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে নয়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট (calcutta High Court)। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্য সরকার এবং এসএসসিকে পৃথকভাবে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ ডিসেম্বর।
হলফনামায় এসএসসিকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিস্তারিত জানাতে হবে
১) কত জনকে এসএসসি নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে
২) কত জনকে নিয়োগ করা হয়েছে
৩) কত চাকরিপ্রার্থী এখনও অপেক্ষা-তালিকায় রয়েছেন
৪) কত পদ এখনও শূন্য রয়েছে
এছাড়া রাজ্য সরকারকেও পৃথক হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকের তরফে রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে। তাতে জানাতে হবে, পরিদর্শকরা কত সুপারিশের ভিত্তিতে কতজনকে নিয়োগ করেছেন। কার কাছ থেকে সুপারিশপত্র কীভাবে পাওয়া গিয়েছে, জানাতে হবে তাও।
৩০ নভেম্বর এসএসসির নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে মহম্মদ সুজাউদ্দিন মল্লিক আদালতে মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০১৬ সালে গ্রুপ- সি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ওই নিয়োগের প্যানেলের বৈধতা ছিল ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও ওই প্যানেল থেকেই লোক নেওয়া হয়। বেআইনি ভাবে ৩৫০ জনকে নিয়োগপত্র বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- কলকাতার পুরভোটে সব বুথে সিসিটিভি লাগাতে বলল হাই কোর্ট
এসএসসি গ্রুপ-সি দুর্নীতির আরও এক অভিযোগ আদালতের গোচর আসে। শিব শংকর গারুই নামে এক চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাওয়া সত্ত্বেও তাঁকে স্কুল নিয়োগ করেনি। অথচ তাঁর বেতন চালু হয়ে গিয়েছে। শুনানিতে তিনি আদালতে নিজের নিয়োগপত্রও পেশ করেন।
তাঁর অভিযোগ শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে এই নিয়োগপত্রের ব্যপারে জানতে চান। এসএসসি জানায়, এই নিয়োগ তাদের সুপারিশে হয়নি। ওই নিয়োগপত্র ভুয়ো। এরপর আদালত শিব শংকরের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে আদালত এই দুই মামলার আবেদনকারীকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকেও যুক্ত করতে বলে।