কলকাতা: অভিনেতা জিতু কামাল (Jeetu Kamal) ও তার স্ত্রী নবনীতা দাসকে(Nabanita Das) হেনস্তার ঘটনায় অবশেষে ঘাতক গাড়ির চালক শিবাশীষ দাসকে এবং সহকারী আদিত্য প্রামাণিককে গ্রেফতার করল নিমতা থানার পুলিশ। এর পাশাপাশি অভিনেতা যুগল নিমতা থানার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার সম্পর্কে যে অভিযোগ করেছে সেই বিষয়টি নিয়েও তদন্ত করা হচ্ছে বলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ সুবীর রায়।
হেনস্তার ঘটনা জানাতে গেলে নিমতা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন নবনীত দাস। কর্তব্যরত এএসআই পরশুরাম বরদলুই এর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন নবনীতা দাস। এমনকী পুলিশের সামনেই অভিযুক্তরা অভিনেতা যুগলকে মৃত্যু ও ধর্ষণে হুমকি দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ এদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।
আরও পড়ুন: পুলিশি হেনস্তার শিকার অভিনেতা যুগল জিতু-নবনীতা
তবে কেন বারবার পুলিশের বিরুদ্ধে এই ধরণের দুরব্যবহারের অভিযোগ উঠছে, কেনই বা সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছে সহযোগিতা চেয়ে হেনস্তা হচ্ছেন, মানুষ বিপদে পরলে তাহলে কার কাছে গিয়ে জানাবে ? একটা এফআইআর নিতে পুলিসের এত সময় কেন লাগল? প্রথমে রাশিদ খান ও পরে জিতু-নবনীতার হেনস্তা পর-পর এই দু’টো ঘটনায় এরকম একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু, তার কোনও উত্তর দেননি পুলিশ আধিকারিক। তিনি জানান, অভিযোগ জানানো হয়েছে তার তদন্ত হবে, খতিয়ে দেখা হবে। নবনিতা দাস পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন সেই অভিযোগ রিসিভ করা হয়েছে, তবে ডিপার্টমেন্টাল প্রসেস তাই গোটা বিষয়ে দেরি হবে।
আরও পড়ুন: শিল্পী রাশিদ খানের গাড়ি আটকে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
পুলিশি অসহযোগিতার যে বিষয়টি আনা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয় ঘটনার পরপরই এফআইআর নিয়ে নিমতা থানার পুলিশ। অভিযোগকারীদের সঙ্গে যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছেন নিমতা থানার ওসি । গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলেও যায় বলে জানান সুবির বাবু। তিনি আরও বলেন, অভিনেতা জিতু কমল নবনীতা দাসের গাড়ির চালক ওই পণ্যবাহী গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয়, চাইলে যার গাড়ি তারাও অভিযোগ জানাতে পারেন।
অন্যদিকে ফেসবুক লাইভে দীর্ঘক্ষণ হেনস্তার অভিযোগ করার পর গোটা বিষয়ে পরবর্তীতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নবনীতা দাস। অভিনেত্রীর কথায়, একজন পুলিশের জন্য সিনিয়র পুলিশ অফিসারদেরও মাথা হেট হতে হল যেটা কখনই কাম্য নয়।