সল্টলেক: ভোট শুরু হওয়ার পর কিছুক্ষণ নির্বিঘ্নে কাটলেও বেলা বাড়তেই সল্টলেকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভুয়ো ভোটার নিয়ে অভিযোগ উঠল। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ছাড়াও ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভুয়ো ভোটারদের জমায়েতের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বেশ কয়েক জায়গায় বিজেপি প্রার্থীরাই দৌড়ে ভুয়ো ভোটার ধরেন। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূল নেতৃত্বই ভুয়ো ভোটার আমদানি করেছে। যদিও তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, হেরে যাবে বুঝেই নাটক করছে বিজেপি।
বিধাননগর পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানা এক ব্যক্তির কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি দৌড়তে শুরু করেন। তখনই তাঁকে তাড়া করেন দেবাশিস। তাঁর দাবি, ওই ব্যক্তি বহিরাগত। পরিচয়পত্রও দেখাতে পারেননি তিনি। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী উমাশঙ্কর ঘোষ দস্তিদার এএইচ কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে বেশ কিছু ভুয়ো ভোটারকে আটকান বলে দাবি করেছেন। যদিও তাঁর এই দাবি ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছে রাজ্যের শাসকদল।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় বিজেপি প্রার্থী ভুয়ো ভোটারকে তাড়া করেন। তাঁর দাবি, ওই ব্যক্তির কাছে ভোটার কার্ড দেখতে চাইলে তিনি পালিয়ে যান। তৃণমূল বুথে ভুয়ো ভোটার ঢোকাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। বিধাননগর পুরনিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রিসাইডিং অফিসার আই কার্ড চেক করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এই অভিযোগ এসেছে। এই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: WB Municipal Election 2022: সকাল ৯টা পর্যন্ত বিধাননগরে ভোটদানের হার ১৪ শতাংশ, বাকি পুরনিগমে কত?