ময়না: বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া (Bijoy Krishna Bhunia) খুনের ঘটনায় সোমবার আরও তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল ময়না থানার পুলিশ।এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাতজন গ্রেফতার হয়েছে। সূত্রে খবর, ধৃত তিনজনকে সোমবার তমলুক আদালতে পাঠানো হবে।
এদিকে বিজয়কৃষ্ণএর খুনের ঘটনায় আদালতের ভর্ৎসনা শোনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখনও কেন নিহতের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি? বিচারপতি বলেন, আদালতের নির্দেশে কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মাঝখানে লালফিতের ফাঁস কোথা থেকে এল?কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। এখনও হয়নি, রাজ্য যদি নিরাপত্তা না দেয়, কিছু হয়ে গেলে কে দেখবে? আপনারা আদালত অবমাননা করছেন। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পোর্ট ব্লেয়ারেও আপনাদের এই আচরণ দেখেছি, এখানেও দেখছি। আপনারা কি চাইছেন যে, বিষয়টা একটু থিতিয়ে যাক? এই গাছাড়া মনোভাব কেন? আপনারা আইনের ঊর্ধ্বে নন। বিচারপতির হুমকি, প্রয়োজন পড়লে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিবকে ডেকে পাঠাব। তাঁর জবাব চাইব। আদালত অবমাননার রুল জারি হবে।
আরও পড়ুন : Niladri Shekhar Dana | হাসপাতাল চত্বরে মাইক বাজিয়ে বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক
বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার আইনজীবী আদালতে জানান, দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়েছে কমান্ড হাসপাতাল। আদালতের নির্দেশের পরও বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু হয়নি। শুধুমাত্র অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, আদালতের নির্দেশের পরে যথাযথ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া ও সঞ্জয় তাঁতির পরিবারের তরফ থেকে তদন্তে সহযোগিতা করা হচ্ছে না। বয়ান রেকর্ড করতে যাওয়া হলেও অসহযোগিতা করা হয়েছে। কেন্দ্রের আইনজীবী জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। একটু সময় লাগছে।
উল্লেখ্য, বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন থেকেই উত্তপ্ত ময়না৷বিজেপির দাবি, সোমবার রাতে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে তাঁর স্ত্রীর সামনে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। তারপর তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। গভীর রাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁর দেহ উদ্ধার করেন দলের কর্মীরা।বিজেপির দাবি, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে বিজয়কে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ দিন পর।