ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিন গুজরাতের মোরবি সেতুর (Morbi Bridge) দর্শনার্থীদের জন্য ৩ হাজারেরও বেশি টিকিট ছাড়া হয়েছিল। ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ওরেভা গ্রুপ-এর তরফে ওই টিকিট বিক্রির জন্য বরাদ্দ হয়েছিল। মঙ্গলবার জেলা আদালতে মোরবি সেতুর হাল কেমন ছিল সে ব্যাপারে ফরেন্সিক তদন্ত রিপোর্ট (Forensic Report) জমা দেওয়ার সময় এই তথ্য দিয়েছেন এক সরকারি আইনজীবী। ওই রিপোর্টেই জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার দিন মোট ৩,১৬৫টি টিকিট বিক্রি হয়েছিল।
একইসঙ্গে সরকারি আইনজীবীর পেশ করা ওই ফরেন্সিক রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, সেতুর তারে মরচে পড়ে গিয়েছিল। তারগুলি যা দিয়ে জোড়া সেই বোল্টগুলিও আলগা হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে ওই পরিমাণ দর্শনার্থীর ভার সামলাতে পারেনি একশো বছরেরও বেশি পুরানো সেতু। শুধু তাই নয়, সেতুতে দর্শক নিয়ন্ত্রণের জন্য যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এবং যাঁরা টিকিট সংগ্রহের কাজ করছিলেন, তাঁরা সকলেই দিনমজুর (Daily Labour)। অত্যন্ত সঙ্গত কারণেই দর্শকদের কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা নিয়ে কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না ওই দিনমজুরদের।
পাশাপাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, মোরবি সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে (Security IN charge) যারা ছিলেন, তাঁদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত কোনও নিয়মের ব্যাপারে বিস্তারিত আকারে জানানো হয়নি। এমনকি কতজন দর্শনার্থীকে সেতুতে একসঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী উঠতে দেওয়া যায় সে সম্পর্কে তাঁদের কোনও ধারণা ছিল না।
সারাইয়ের পর চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল মোরবি সেতু। খুলে দেওয়ার পর থেকে ওই ঝুলন্ত সেতু (Hanging Bridge) দেখতে প্রচুর মানুষ হাজির হয়েছিলেন। আর ৩০ অক্টোবর সেতুর উপরে ওই ভিড় যেন সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। সেতু ছিঁড়ে যাওয়ার ফলে নদীতে ১৩০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন বহু মানুষ।