জম্মু: ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মু (Jammu)। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) ভূস্বর্গে পা রাখার পর গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৃতীয়বার বিস্ফোরণ ঘটল উপত্যকায়। গতকালের বিস্ফোরণের পর শনিবার মাঝরাতে আবার বিস্ফোরণ। সাধারণতন্ত্র দিবসের (Republic Day) আগে এবং রাহুলের পদযাত্রার মধ্যে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় ফের প্রশ্নচিহ্নের মুখে জম্মু-কাশ্মীর। জম্মুর বাজালটা এলাকায় একটি বালি বোঝাই ট্রাকের ইউরিয়া ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে। এই ঘটনায় এক পুলিশ কনস্টেবল জখম হয়েছেন।
জম্মুর নেসকাফে কমপ্লেক্সের কাছে সিধরা চকে ওই পুলিশ কর্মী ডিউটিতে ছিলেন। সুরিন্দর সিং নামে ওই পুলিশ কর্মী বালিবোঝাই ডাম্পার ট্রাকটি তল্লাশির জন্য থামান। ট্রাকটি যখন থামে, তখনই ট্রাকের ইউরিয়া ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ হয়। ইঞ্জিনের ময়লা শোধনের জন্য ট্রাকে একটি করে ইউরিয়া ট্যাঙ্ক থাকে। জখম পুলিশ কর্মীকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, এটা সাধারণ দুর্ঘটনা নয়। বিস্ফোরক আইনে নাগ্রোটা থানায় একটি এফআইআর করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Kolkata: কোনওদিন তাদের ক্ষমা করতে পারব না, লিখে ছাদ থেকে মরণঝাঁপ প্রাক্তন বিমানসেবিকার
এর আগে, শনিবার (Saturday) সকালে জম্মুর নরওয়াল (Narwal) এলাকায় ১৫ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ (Explosion) ঘটে। ঘটনায় জখমদের নিকটবর্তী হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তাঁরা সেখানে চিকিৎসাধীন। আগামী সোমবার, ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিবস। তার দুদিন বাদেই ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস। ওই দিনই শ্রীনগরে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি ঘটবে। সেখানে জাতীয় পতাকা তোলার কথা রাহুলের। তার আগে একাধিক বিস্ফোরণে রাহুলের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের। উদ্বিগ্ন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, শনিবার দুটি বিস্ফোরণই ঘটানো হয়েছে আইইডি (IED)-র মাধ্যমে। অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ (ADGP) মুকেশ সিং জানান, নরওয়াল এলাকায় প্রথম বিস্ফোরণটি (Explosion) ঘটে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ। তার ১৫ মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। এই জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যেখানে জোড়া বিস্ফোরণটি হয়েছে সেটি বাণিজ্যিক এলাকা হিসেব বেশ পরিচিত। পাশাপাশি ওই এলাকায় গাড়ি মেরামতি এবং যন্ত্রাংশের অনেক দোকান রয়েছে। শনিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন এই জোড়া বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বোলেরো গাড়িতে প্রথম বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় আহত হন পাঁচ জন। তার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফের বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে। তখন আরও দু’জন জখম হন।