শান্তিনিকেতন: অনিশ্চয়তা শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা ঘিরে। শনিবার জেলা প্রশাসন, স্থানীয় পুরসভা, জনপ্রতিনিধিদের বৈঠক ডাকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বৈঠক ডেকে নিজেই গরহাজির উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তী। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে তিনি বৈঠকে আসেননি। এমনকী জেলাশাসকের ফোনও ধরেননি। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলাশাসক বিধান রায়, জেলার এসপি-সহ অন্য পুলিশকর্তারা ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করার পর বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ছেড়ে চলে যান। স্বাভাবিকভাবেই বৈঠক হয়নিয তবে জেলাশাসক জানান, মানুষের মেলা মানুষের সরকারই করবে। বিশ্বভারতী মাঠ না দিলে আমাদের বিকল্প মাঠে মেলা হবে।
জেলার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার অভিযোগ, উপাচার্য পৌষমেলা করতে চাইছেন না বলেই নিজে বৈঠক ডেকে গরহাজির থাকলেন। আসলে উপাচার্য এবং তাঁর নিয়োগকর্তারা শান্তিনিকেতন থেকে রবীন্দ্রনাথের ঐতিহ্য মুছে ফেলতে চাইছেন। তাই তিনি আজ এই আচরণ করলেন। মন্ত্রী জানান, বিশ্বভারতী মেলা না করলে বা মাঠ না দিলে বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে মেলা হবে।
আরও পড়ুন: Duyare Sarkar: দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার করে বিপাকে তৃণমূল ব্লক সভাপতি
উপাচার্যের এই আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ জেলাশাসক বিধান রায়। তিনি বলেন, উপাচার্য বৈঠক ডাকলেন। অথচ তিনি নিজেই এলেন না। পুলিশ গিয়েছিল তাঁকে আনতে। তিনি নাকি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। আমি নিজে হাজির, মন্ত্রী উপস্থিত, পুলিশ সুপার-সহ এত পুলিশকর্তা হাজির। তবু তিনি নিরাপত্তার অভাবের কথা বললেন কোন যুক্তিতে, জানি না। জেলাশাসক বলেন, আমি তাঁকে ফোন করি। তিনি ফোন ধরার সৌজন্যও দেখাননি। এতে আমি অপমানিত হয়েছি।
বৈঠক ডেকে উপাচার্যের বাড়িতে বসে থাকা নিয়ে প্র্শ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি সন্ধ্যা পর্যন্ত। এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে পড়ুয়াদের অবস্থান এদিনও চলে। তাঁদের সাফ কথা, তিনি ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।