হাওড়া: ফের হাওড়ার (Howrah) গ্রামীণ এলাকায় প্রতিবাদী খুন। শ্যামপুরের (Shyampur) ঘটনার পর এবার সাঁকরাইলে (Sankrail) মদ, জুয়া, সাট্টার প্রতিবাদ করায় নৃশংস ভাবে খুন করা হল এক যুবককে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গলার নলি কেটে পেটে ভাঙা বোতল ঢুকিয়ে খুন করা হয় রবি রাই নামে ওই প্রতিবাদীকে। পুলিশের (Police) অবশ্য দাবি, পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুন।
রবির (Robi) বাড়ি বাড়ি সাঁকরাইল থানার নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের কাছেই নেপালি পাড়ায়।
শুক্রবার সকালে একটি মন্দিরের পাশে রবির রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এক টোটোচালক। তাঁর কাছে খবর পে্যে ঘটনাস্থলে ভিড় করেন এলাকার লোকজন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মন্দির থেকে বেশ কিছুটা দূর পর্যন্ত রাস্তায় রক্তের দাগ লেগে ছিল। এর থেকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গলির ভিতরে খুন করে রবিকে টানতে টানতে মন্দিরের পাশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Weather: বদলে গেল শীতের চরিত্র, এবার কি তবে বিদায়ের পালা ?
স্থানীয়রা জানান, রবি একটি কল সেন্টারে কাজ করতেন। এলাকায় মদ, জুয়া, সাট্টার ঠেকের বিরুদ্ধেও তিনি প্রতিবাদ করতেন। এর আগে কালীপুজোর সময়ও এই সবের প্রতিবাদ করায় তাঁকে দুষ্কৃতীরা হুমকি হয়েছিল। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এই প্রতিবাদ করার জন্যই রবির মতো নিরীহ মানূষকে দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। এদিন সকাল থেকেই এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মহিলাদের অভিযোগ, মদ, জুয়া, সাট্টার ঠেকে প্রায় তাঁদের নানারকম কটূক্তি করা হয়। পুলিশকে জানানোর পরও ওই সব ঠেকে হাত পড়েনি। নাজিরগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ অবশ্য নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত রবিবারই হাওড়ার শ্যামপুরে চোলাইয়ের ঠেকের পাশে দুষ্কৃতীদের হাতে মেয়ের শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় খুন হন এক ৩৫ বছরের যুবক। দশম শ্রেণির ছাত্রী ওই মেয়েটির টিউশন থেকে ফিরতে দেরি হচ্ছিল। বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেয়ের জন্য মাঠের পাশে অপেক্ষা করছিলেন। তখন মেয়ের সাইকেল ধরে টানাটানি করে তিন যুবক। তার শ্লীলতাহানিও করা হইয়।মেয়ের সম্মানহানি রুখতে এগিয়ে যান বাবা।ওই তিন যুবক তাঁকে পিটিয়ে খুন করে। প্রথমে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে এবং পরে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সোমবার সকাল থেকেই এলাকার মানূষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সন্ধ্যায় ওই যুবকের মৃতদেহ রাস্তায় রেখে অবরোধ চলে দীর্ঘক্ষণ। বিজেপি, কংগ্রে্স, সিপিএমও দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে। পুলিশ তিন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের এলাকায় নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। নাবালিকার বাড়ি যান রাজ্য শিশুসুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়।