নয়াদিল্লি: আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) শেয়ারের পতন (Share Fall) যেন অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছে। কিছুতেই রাশ টানা যাচ্ছে না। শুক্রবারও পতন অব্যাহত আদানি গ্রুপের প্রায় সবক’টি কোম্পানিতে। শুক্রবার আদানি গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি (Flagship Company) আদানি এন্টারপ্রাইজ পড়েছে ৪.৮৫ শতাংশ।
দালাল স্ট্রিট সূত্রে জানা গিয়েছে, আদানি পোর্টের I(Adani Port) শেয়ার মূল্য সামান্য বেড়েছে। তবে বৃদ্ধি মাত্র ১.২৮ শতাংশ। আদানি পাওয়ার (Adani Power)-এর পতন হয়েছে ৪.৯৯ শতাংশ। আদানি উইলমার ৩.১৪ শতাংশ পড়েছে। মিডিয়া কোম্পানি এনডিটিভি-র পতন হয়েছে ৪.২৭ শতাংশ। ৫ শতাংশ করে শেয়ারের পতন হয়েছে আদানি গ্রিন, আদানি টোটাল গ্যাস ও আদানি ট্র্যান্সমিশনের। এসিসি সিমেন্ট ক্ষুদ্র বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে মাত্র ০.১৪ শতাংশ। অম্বুজা সিমেন্ট বেড়েছে ২.৪৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: Adeno virus: শিশুদের আরটিপিসিআর বাধ্যতামূলক করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর
আদানিদের শেয়ার সম্পদ পতন বিশ্বের কর্পোরেট ইতিহাসে (Corporate History) নতুন ইতিহাস। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ (Hindenburg Research)-এর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। আমেরিকা ভিত্তিক সংস্থার ওই রিপোর্টে আদানিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক শেয়ার জালিয়াতি, কারচুপি, বিরাট অঙ্কের ঋণের অভিযোগ ওঠে।
২৪ জানুয়ারি আদানিদের তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির মোট শেয়ার মূল্য বা মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ছিল ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ঠিক এক মাস পরে ওই ১০ কোম্পানির মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন দাঁড়িয়েছে ৭.২ লক্ষ কোটি টাকা।
মাত্র এক মাসে আদানিদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন (Market Capitalization) কমেছে প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা। লগ্নিকারীদের আস্থা ফিরে পেতে আদানিরা নানা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও পতন ঠেকানো যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, এই সপ্তাহে একটি আন্তর্জাতিক পত্রিকায় (Guardian) প্রকাশিত হয়েছে শুধু ভারতে নয় অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দারাও উদ্বেগে রয়েছে। কারণ, সেখানকার প্রবীণদের অবসরকালীন সঞ্চয় বিনিয়োগ করা হয়েছে আদানিদের কোম্পানিতে। তা নিয়ে এখন তাঁরা উদ্বেগে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, আদানি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছে, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের ওই রিপোর্ট ভিত্তিহীন। ভারতের আইন না মেনে ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।