হাইটেনশন তারে মৃত বাবা-ছেলের মৃতদেহ গ্রামে আসতেই শনিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন মোহনপুর থানার ধৌড় জামুয়ার বাসিন্দারা। পুলিশ এবং প্রশাসনের অফিসারদের ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যুত দফতরের গাফিলতির জন্যই অকালে প্রাণ গেল বাবা এবং ছেলের। বাসিন্দারা মৃতদেহ অনেকক্ষণ আটকে রাখেন। ময়না তদন্তের পর এদিন দুলাল কর এবং বিষ্ণুপদ করের নিথর দেহ গ্রামে আসে।
গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাঠে হাইটেনশন তার পড়ে ছিল। বিদ্যুত দফতরে বারবার বলা সত্ত্বেও তারা ওই বিপজ্জনক তার সরিয়ে ফেলার কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এসডিপিও শামিম বিশ্বাস-সহ অন্য পুলিশ কর্তারা তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে বাসিন্দারা শান্ত হন।
আরও পড়ুন: Student Molestation: টিউশন থেকে ফেরার পথে তরুণীর শ্লীলতাহানি, ব্লেড দিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির গবাদি পশুদের জন্য ধানের মাঠে ঘাস কাটতে যান ৫৬ বছরের দুলাল কর। সেই মাঠে হাইটেনশন লাইনের তার পড়েছিল। তাতে পা পড়তেই তড়িদাহত হন দুলাল। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও বাড়ি না আসায় ছেলে বিষ্ণুপদ বাবার খোঁজে মাঠে যান। তিনি দেখেন, বাবা মাঠে পড়ে আছে। বাবাকে ধাক্কা দিলে তিনিও তড়িদাহত হন। বাবার পাশেই তিনি পড়ে যান। পরে বাড়ির লোকেরা এবং প্রতিবেশীরা মাঠে গিয়ে হতভম্ব হয়ে যান বাবা এবং ছেলের দেহ দেখে। স্থানীয় বাগদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। রাতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। শনিবার সকালে সেই বিক্ষোভের মাত্রা বাড়ে। বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে ঘটনাস্থলে।