সোমবার সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনটি কলকাতা এবং শিলিগুড়ি শহর সরগরম থাকল রাজ্য ও কেন্দ্রের একাধিক মন্ত্রীকে ঘিরে। বাইরের মিছিল, মিটিংয়ের উত্তাপ গিয়ে পৌঁছল রাজ্য বিধানসভার অন্দরেও। শাসক এবং প্রধান বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীদের মুখে মুখে ফিরল রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি, দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং জন বার্লার নাম।
সোমবার দিনভর উত্তপ্ত ছিল বিধানসভা। শুরুতেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) প্রতি কটূ কথা বলায় মন্ত্রী অখিল গিরিকে বরখাস্ত করার দাবিতে সরব ছিলেন বিজেপি বিধায়করা BJP MLAs। পাল্টা নিশীথ প্রামাণিক এবং জন বার্লার গ্রেফতারির দাবি ওঠে শাসকদলের তরফে। তুমুল হইচইয়ের মধ্যে বিজেপি সদস্যরা ওয়াকআউট করেন। বিজেপি বিধাকরা বিধানসভা থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় যান। শিক্ষা দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং অখিলের ইস্তফার দাবিতে বিজেপির মহিলা মোর্চা দলের রাজ্য দফতর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে। তার পুরোভাগে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: Engineer Body at Saltlake Flat: বিধাননগরে ফ্ল্যাট থেকে ইঞ্জিনিয়ারের পচাগলা দেহ
এর ফাঁকেই কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) বিধানসভার লবিতে বলেন, আমি আবারও ক্ষমা চাইছি রাষ্ট্রপতির কাছে। মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষমা চেয়েছেন আমার মন্তব্যের জন্য। তবু তা নিয়ে বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরছে। আসলে বিরোধী দলনেতা মেদিনীপুরে আমাকে টাইট দেওয়ার জন্য নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে অযথা বিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর মতে, আমি মনে করি, এখানেই এই বিতর্ক শেষ করা উচিত।
পরে দ্বিতীয়ার্ধে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল নিয়ে আলোচনাতেও ঘুরেফিরে সেই প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু ইস্যুতে আমরা বলেছি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন। এই অপমান আমারও অপমান। মুখ্যমন্ত্রী অনুতপ্ত। দ্রৌপদী মুর্মুর জীবনটা সংগ্রামের। সেখানে তাঁর সম্মান রাস্তায় নামিয়ে আনা হচ্ছে। আসলে আদিবাসীদের ভোট নিতে হবে বলে এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে বিরোধী দল। তিনি বলেন, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, সেখানে অখিল গিরি কী বলবেন। অখিল গিরি যা বলেছেন, তা কেউ সমর্থন করেননি।
এদিকে দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং জন বার্লার গ্রেফতারির দাবিতে শিলিগুড়িতে বিরাট মিছিল করা হয়। মিছিলের আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে উদয়ন গুহ, মহুয়া গোপ প্রমুখ নেতা বলেন, চুরির অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হবে না। উদয়ন বলেন, কোচবিহারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সব চেয়ে বেশি টাকা কামিয়েছেন নিশীথ। তাঁকে কেন ইডি, সিবিআই ডাকবে না।