বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মীমাংসা করে দেওয়ার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর নির্যাতিতা তরুণীকে নিজের পার্টি অফিসে ডেকে অভিযুক্ত প্রেমিক এবং আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। নির্মম ওই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেলশহর খড়গপুরে। মাস তিনেক আগেই নির্যাতিতা তরুণী’র সঙ্গে এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেলেও, প্রাণের ভয়ে ও আতঙ্কে এতদিন তিনি মুখ খোলেননি! এমনকি নিজের বাড়ি থেকেও বেরোননি। ঘরবন্দী থাকার কারণ, কাউন্সিলরের তরফে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, “মুখ খুললেই খুন করে, লাস গুম করে দেব!” খড়গপুর পুরসভার ৩২ নং ওয়ার্ডের অভিযুক্ত ওই কাউন্সিলেরের নাম মুকেশ হুমনে। আর, নির্যাতিতার সেই প্রেমিকের নাম অলোক কুমার।
অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে স্বামীকে হারানো ওই তরুণী নিজের বাপের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই তার সঙ্গে অলক কুমার এর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অলক কুমার এর বিরুদ্ধে তরুণী অভিযোগ আনে। এদিকে, বিজেপি থেকে জিতে তৃণমূলে আসা স্থানীয় কাউন্সিলর মুকেশ হুমনে ঘটনার কথা জানতে পেরে মীমাংসা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তারপর, গত ২৫ জুলাই দুপুর তিনটের সময় স্থানীয় বড় আয়মা এলাকায় পার্টি অফিসে ডেকে মুকেশ, অলক ও কাউন্সিলরের এক সহযোগী মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
ওই ঘটনায় টাউন থানায় এফ আই আর করা হলে পুলিশ নির্যাতিতার প্রেমিককে গ্রেফতার করলেও, মুকেশ ও তাঁর সহযোগী বন্ধুকে গ্রেফতার করেনি। গত তিন মাস মুখ বুজে হুমকি শুনে যাওয়ার পর, অবশেষে ওই নির্যাতিতা তরুণী সমস্ত ঘটনার কথা লিখিতভাবে বিস্তারিত আকারে জানিয়ে গত ২১ অক্টোবর জেলার পুলিশ সুপার ও অন্যান্য পুলিশ কর্তাদের কাছে অভিযোগ পাঠান। ওই চিঠিতে মুকেশকে অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন নির্যাতিতা। তাঁর বক্তব্য, মুকেশ ও তার বন্ধুর ভয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না! তাঁরা বারবার খুনের হুমকি দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে যেন যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়। ঘটনার জেরে রেলশহরে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য!