কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যু ঘটনায় তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। এরই মধ্যে এবার যাদবপুর সহ রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং বন্ধের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতি শিভগননম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্ষের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মামলার শুনানি হতে পারে।
মামলাকারীর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং চলবে না। সেই নির্দেশ কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই মেনে চলে না। তাঁর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এই নির্দেশ মেনে চলার জন্য আদালত পদক্ষেপ করুক। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলার অনুমতি দিয়েছে।
গত বুধবার যাদবপুরের মেন হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের। অভিযোগ উঠেছে, ব়্যাগিংয়ের নামে অত্যাচারের ফলে ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। গভীর রাতে হস্টেলের নীচে বিবস্ত্র এবং রক্তাত অবস্থায় ওই ছাত্রকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মৃত ছাত্রের বাবা দাবি, করে তাঁর ছেলের মৃত্যু ব়্যাগিংয়ের জেরেই হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হস্টেলের দুজন বর্তমান আবাসিক ও একজন প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের আগামী ২২ তারিখ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুধবার যাদবপুরে আসছে ইউজিসির প্রতিনিধিদল
মামলাকারী আবেদনে আরও জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত রাঘবন কমিটি ব়্যাগিং বন্ধের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল, হস্টেলে জুনিয়ার এবং সিনিয়রদের একসঙ্গে রাখা যাবে না। হস্টেলে ইউজিসির হেল্পলাইনের নম্বর রাখতে হবে। এই সব নির্দেশিকা সংবাদমাধ্যমে প্রচারের কথা বলেছিল রাঘবন কমিটি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোনও নির্দেশিকা মানে না । তারজন্যই যাদবপুরের মতো দুঃখজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে বলে ওই মামলাকারী জানিয়েছেন।