রামপুরহাট: সিবিআই (CBI) হেফাজতে মৃত্যু হলো বগটুই (Bogtui) কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন সেখের (Lalan Sheikh)। যাকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজনীতি ফের একবার তোলপাড়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে এভাবে অভিযুক্তের মৃত্যু নিয়ে বিজেপি-বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যেই আসরে নেমে পড়েছে। অনেকেই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় লালন সেখের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। রামপুরহাটে (Rampurhat) সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প পান্থশ্রীতে লালনের মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে। গত ৩ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থানার নরোত্তমপুর থেকে লালন সেখকে গ্রেফতার করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। ৪ ডিসেম্বর তাকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে ৬ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ১০ ডিসেম্বর ফের তাকে দ্বিতীয়বারের জন্য তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেইদিন থেকে সিবিআইয়ের হেফাজতেই ছিল লালন সেখ।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ (21March) রাত সাড়ে আটটা নাগাদ বীরভূমের বগটুই মোড়ে খুন হন তৃণমূলের উপ প্রধান ভাদু শেখ। বোমা মেরে খুন করা হয় বগটুই গ্রামের বাসিন্দা ও বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধানকে। খুনের বদলা নিতে ভাদু শেখের অনুগামীরা (Supporter) ওই রাতেই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরদিন সকালে ঘটনাস্থল থেকে সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁরাও মারা যান। আদালতের নির্দেশে ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত শুরু করে। গত ২১ জুন সিবিআই দুটি ঘটনার চার্জশিট (Chargesheet) জমা দেয়।
ধৃত লালন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC) উপ প্রধান ভাদু শেখের ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছিল। সিবিআই সূত্রে দাবি, গত ২১ মার্চ, ভাদু খুনের পর, বগটুই গ্রামে যে অগ্নি সংযোগ ও ৮ জনকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে, সেই তাণ্ডবের নেতৃত্ব দিয়েছিল ভাদু ঘনিষ্ঠ লালন। কিছুদিন আগে লালন শেখের ভাগ্নে বুলু শেখ ওরফে ডলারকেও গ্রেফতার করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পর সিবিআইয়ের জালে লালন শেখ।