কলকাতা: পুকুরে ফেলে দেওয়া জীবনকৃষ্ণ সাহার (JibanKrishna Saha) মোবাইল জীবন ফিরে পেল। পুকুরের পাঁকে গেঁথে গেলেও সেই মোবাইল (Mobile) ফের চালু হল। তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহার মোবাইলের তথ্য উদ্ধারের জন্য দিল্লি থেকে সিবিআই (CBI) ফরেনসিকের (Forensic) টিম পৌঁছেছে নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace)। ইতিমধ্যে দুটি মোবাইলই চালু করতে সক্ষম হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বড়ঞার বিধায়কের আন্দির বাড়িতে তল্লাশির সময় জীবনকৃষ্ণ সাহা দুটি মোবাইল বাড়ি লাগোয়া পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। পুকুরের জল তুলে সেই মোবাইল পাঁক থেকে উদ্ধার করে সিবিআই। তদন্তে অসহযোগিতা ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে সিবিআই তাকে গ্রেফতার করে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না বিধায়ক। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন। মনে করা হচ্ছে ওই মোবাইল থেকেই নিয়োগ দুর্নীতির অনেক তথ্য মিলতে পারে। এখন দেখার কী এমন তথ্য রয়েছে ওই মোবাইলে যার জন্যে তা পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন বিধায়ক। জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির পাশের ঝোপ থেকে CBI উদ্ধার করেছিল ৬ টি ব্যাগ ভর্তি নথিও। গত শুক্রবার বেলা ১টা নাগাদ জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। পুকুরের জলে মোবাইল সহ নথি ফেলে জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাই রাতেই পুকুরের জল তুলে ফেলার কাজ শুরু করে সিবিআই(CBI)। রাত সাড়ে দশটায় ফের নতুন করে সিবিআইয়ের( CBI) -এর ঊর্ধ্বতন অফিসার সহ সিআরপিএফ (CRPF) পৌঁছয়। শনিবার সকালে তল্লাশি করতে গিয়ে নথি ভর্তি ব্যাগ পেয়েছে তদন্তকারীরা। তবে ওই নথি কীসের তা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: Satyapal Malik | প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের অনুষ্ঠান বন্ধ করল দিল্লি পুলিশ
সোমবার পুকুরের পাঁক থেকে উদ্ধার হয় বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দ্বিতীয় মোবাইল ফোন। তার আগে সকালে নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার করা হয় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে (MLA Jiban Krishna Saha)। প্রায় ৬৫ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির (Search) পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (Central Investigation Agency) সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader)। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের তিন বিধায়ক গ্রেফতার হলেন এখনও পর্যন্ত। জীবনকৃষ্ণের আগে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) এবং পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) গ্রেফতার হয়েছেন। দু’জনেই এখন জেলবন্দি, তাঁদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। পার্থ চট্রোপাধ্যায় যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন, সেই সময় তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ছিলেন।