কলকাতা: বাঙালির দুর্গাপুজোর(Durgapuja) জাঁকজমক সারা বিশ্বে খ্যাত। দুর্গা পুজো এলেই সব ভুলে মানুষ মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন। বলতে গেলে বঙ্গজীবন রঙিন হয়ে যায়। অষ্টমীর (Ashtami) রাতে কলকাতার রাজপথ যেন হেসে সৌন্দর্যের দ্যুতি ছড়ায়। রবিবার বড়দিনের (Christmas) সন্ধ্যাতেও সেরকমভাবে রংবেরংয়ের পোশাক ও সান্তা টুপিতে মাতোয়ারা হল পার্ক স্ট্রিট (Parkstreet) সহ কল্লোলিনীর সব রাস্তা। শুধুই খুশির আমেজ। নতুন প্রজন্মের আবেগের স্রোত বয়ে গেল তিলোত্তমার রাস্তায়। সেখানে থাকা ফুডকোর্ট, খাবারের দোকানগুলির (Food Stall) সামনে খুশির জটলা উৎসবের (Festival) আমেজ বাড়িয়ে দেয়। উত্তরবঙ্গ (Northbengal) থেকে দক্ষিণবঙ্গ (Southbengal), কোচবিহার (Coochbihar) থেকে কাকদ্বীপ (Kakdwip) রাজ্যে বড়দিন উদযাপন হল উচ্ছ্বাসে, উল্লাসে। শীতের (Winter) শুরুতে এটা ছিল বড় করে উদযাপনের দিন। যা সার্বজনীন উৎসবের চেহারা নিল।
তবে শুধু কলকাতা (Kolkata) নয়। মায়াপুর (Mayapur), ব্যান্ডেল চার্চ (Bandel Church), দার্জিলিং (Darjeeling), হাজারদুয়ারিতে (Hazarduyari) এদিন রাতে যেন একটুকরো পার্কস্ট্রিট উঠে এসেছিল। পার্ক স্ট্রিটে বড় দিনের উদযাপন দেখতে সবার মন চায়। দুর্গাপুর (Durgapur), জলপাইগুড়ি (Jalpaigudi), মালদা (Maldah), মুর্শিদাবাদ (Murshidabad), হুগলি (Hoogly) সহ জেলাগুলিতেও বড়দিন উদযাপনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত (Spontenious) খুশি কোনও অংশে কম ছিল না। দুর্গাপুরে (Durgapur) আর্নল্ড পার্কে ও জলপাইগুড়িতে বইমেলা প্রাঙ্গণেই পালিত হল বড়দিন। ইছামতী নদীতে (Ichhamati River) পর্যটকরা (Tourists) ভিড় জমায়। জেলাগুলির পার্কেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে বড়দিনকে কেন্দ্র করে ছোটখাটো মেলাও (Fair) বসে। বলা ভালো সারা বিশ্ব, কলকাতার সঙ্গে জেলার প্রান্তিক এলাকাতেও এদিন বড়দিন উদযাপনের সুর এক তারে বাঁধা ছিল।
আরও পড়ুন: Park Street: বড়দিনে প্রচুর ভিড় পার্ক স্ট্রিটে, বিকেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল
এদিন ছিল ইংরেজি বছরের শেষ রবিবার। ফলে সরকারি অফিস বন্ধ ছিল। অনেকের কাজে ছুটি ছিল। ফলে রাজ্যের বিভিন্ন পিকনিক স্পট (Picnic Spot) ভরপুর ছিল পর্যটকে। শীত কমে তাপমাত্রার উষ্ণতা এদিন কিছুটা বাড়লেও ছুটি (Holiday) কাটানো, তার সঙ্গে বন ভোজনে সাধারণ মানুষের বড় দিনের আনন্দের (Enjoy) তাল কাটতে পারেনি তা।