সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election), আর এহেন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে বারবার এলাকায় শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেওয়া হলেও স্থানীয় স্তরে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষের ঘটনা বেড়েই চলেছে। রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদের চর পিরোজপুর এলাকায় শুরু হয় সংঘর্ষ (Political Clash)। বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে বিবাদ চরমে পৌঁছালে বোমাবাজি শুরু হয় এলাকায়। সেই বোমার আঘাতে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলের একাধিক ব্যক্তি আহত হন। ঘটনার খবর পাওয়ার পরে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ওই চর পিরাজপুর এলাকায় রঘুনাথগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী (Police Force) গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে একাধিক আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় স্থানীয় এক বেসরকারি নার্সিংহোমে (Nursing Home)। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কজনক বলে জানা গিয়েছে। এক মাস আগে ওই চর পিরোজপুর এলাকায় বোম বিস্ফোরনে আহত হন কয়েকজন। সেই ঘটনার পর ফের বোমের আঘাতে একাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ায় স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রায় মাস দেড়েক আগে রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভার আওতায় ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী চর পিরোজপুর এলাকায় সক্রিয়ভাবে তৃণমূল কর্মী (TMC Worker) হিসাবে কাজ করতেন এরকম বেশ কয়েকজন বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন। দল ছাড়া ওই নেতা-কর্মীদের অভিযোগের আঙুল ছিল, তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃ্ত্বের একাংশের দিকে। তাঁদের দাবি, শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের একাংশ বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। আর তার প্রতিবাদে এলাকার বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর থেকেই এলাকা মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
রবিবার রাতে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে ওই সংঘর্ষের জেরে বোমাবাজির পর থেকেই গোটা এলাকার পরিস্থিতি থমথমে হয়ে রয়েছে। যদিও রঘুনাথগঞ্জ দু’নম্বর ব্লক এলাকার তৃণমূল ব্লক সভাপতি (Block President) সমীরুদ্দিন বিশ্বাসের দাবি, এটা রাজনৈতিক কোনও বিবাদ নয়। পুরনো শত্রুতার জেরে ওই বোমাবাজির ঘটনাটি ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলে কোনও যোগ নেই।