লিটার প্রতি দামে গ্যাস-ডিজেলের দামের সঙ্গে রীতিমত পাল্লা দিচ্ছে সিএনজি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সিএনজির জোগানে টান পড়েছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। যাতায়াতের খরচ কমাতে তাই ডিজেলের পরিবর্তে সিএনজি বাস পরিষেবা নিয়ে আপাতত যথেষ্ট সংশয়ে আছেন পরিবহণ দফতরের কর্তারা।
শহরে দূষণ কমাতে সিএনজি বাস পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা থাকলেও নির্দিষ্টভাবে ওই জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে অস্বস্তিতে বাস মালিকরা। গত আট মাসে লিটারে প্রায় ৩০ টাকা দাম বেড়েছে সিএনজির (CNG)। শহরের রাস্তায় ইতিমধ্যেই অল্প কিছু সিএনজি বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। আপাতত উল্টোডাঙ্গা থেকে নিউ টাউন রুটে চলছে ১৪টি বেসরকারি বাস। কিন্তু দাম বৃদ্ধির ফলে নতুন করে সিএনজিতে বাস চালাতে আগ্রহ হারাচ্ছেন বাস মালিকরা।
যাত্রী পরিবহনে জ্বালানি খরচ কমাতে বেশ কিছুদিন আগেই উদ্যোগী হয়েছিল পরিবহণ দফতর (Transport Department) । আর সে কথা মাথায় রেখেই ডিজেল চালিত কিছু বাসকে সিএনজিতে পরিবর্তিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু লিটার প্রতি সিএনজির দাম বেড়ে ৯০ টাকা হয়ে যাওয়ায় খরচ কমানো নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কারণ জ্বালানি হিসাবে ডিজেলের লিটার প্রতি দাম এখন ৯২.৭৬ টাকা। আর গত বেশ কয়েক মাসে কিছু দফায় বাড়বার পরে লিটার প্রতি সিএনজি-র দাম প্রায় ৯০ টাকা। যার কারণ গত আট মাসে সি এন জি র দাম বেড়েছে কমবেশি ৩০ টাকা।
পরিবহণ পরিষেবায় বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) সাশ্রয়কারী হিসেবে মনে করা হয়েছিল। ডিজেলের তুলনায় লিটার পিছু দামে ও কার্যকারিতায় ২৫ শতাংশ বেশি উপযোগী বলে জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু দামের ঊর্ধ্বগতির জেরে পরিবেশ বান্ধব হওয়া সত্বেও নতুন করে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না বাস মালিকদের একটা বড় অংশ।