কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের নির্ঘণ্ট স্থির করতে আগামী রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসছে। তবে ওই বৈঠকে গান্ধী পরিবারের কেউই উপস্থিত থাকছেন না। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বুধবারই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিদেশে চলে গিয়েছেন। মায়ের সঙ্গে গিয়েছেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কাও।
কংগ্রেস নির্বাচনী কমিটি সূত্রের খবর, গোটা সাংগঠনিক নির্বাচন পর্ব মিটতে প্রায় এক মাস লেগে যাবে। সোনিয়া এবং রাহুল বিদেশ থেকেই ভার্চুয়ালি ওয়ার্কিং কমিটির সভায় যোগ দেবেন। সম্ভবত এই প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সোনিয়া-রাহুল সশরীর হাজির থাকতে পারবেন না। সোনিয়ার দেশে ফেরার কথা ৯ সেপ্টেম্বর নাগাদ। রাহুল অবশ্য তার আগেই ফিরে আসবেন। ফলে সাংগঠনিক নির্বাচন পর্বের একটা বড় সময়ে সোনিয়া দেশে থাকবেন না।
কংগ্রেসের অন্দরে এই মুহূর্তে বড় প্রশ্ন, পরবর্তী সভাপতি কে হবেন। সোনিয়া-সহ তাবড় কংগ্রেস নেতা রাহুলকে সভাপতি হওয়ার ব্যাপারে রাজি করাতে পারছেন না। রাহুল সমানে বলে চলেছেন, গান্ধী পরিবারের কেউ সভাপতি হবেন না। গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে কাউকে সভাপতির দায়িত্ব নিতে হবে। কংগ্রেসের একটি অংশ চাইছে, একান্তই রাহুল রাজি না হলে সোনিয়াই সভানেত্রী থেকে যান। কিন্তু সোনিয়া ভোট পর্বে বাইরে থাকায় তারও সুযোগ থাকছে না। এই আবহে শেষ পর্যন্ত গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকেই হাল ধরতে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সভাপতি পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
গেহলট অবশ্য বলেন, আমি সংবাদমাধ্যমে শুনছি নানা কথা। আমি এখনও চাই, রাহুলই ফের সভাপতি হন। তিনিও দফায় দফায় রাহুলকে বুঝিয়েছেন। কংগ্রেসের একটা বড় অংশও বলছে, গেহলট সভাপতি হলে ভালোই হবে। তিনি গান্ধী পরিবারের কাছের লোক। দলের বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতাদের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভালো। তবে রাজস্থানের রাজ্যপাট ছেড়ে তিনি পাকাপাকি দিল্লিতে চলে আসবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি সভাপতি হলে তাঁর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী সচিন পাইলটের রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে উঠবে।