কলকাতা: ডিএ (DA Case) দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধাগুলি হয়ত মিলবে না। বকেয়া ডিএয়ের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এরই মাঝে ফের বেফাঁস মন্তব্য করলেন তৃণমূল পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sobhondev Chatterjee )। এই মন্তব্যের জেরে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। এদিকে শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ফের ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল। শুনানি হতে পারে ১২ জুলাই। এমনটাই খবর শীর্ষ আদালত সূত্রে। এ নিয়ে সাতবার ডিএ মামলার শুনানি পিছল।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে পথে নেমেছে সব রাজনৈতিক দল। পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। বেশকিছু জায়গায় দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। ভোটের আগে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলনেত্রীর নির্দেশ মতো নিজের নিজের এলাকায় জনসংযোগের কাজ চালাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। খড়দহ পাতুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির সুরক্ষাকবচ অনুষ্ঠানে যান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেখানে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার প্রসঙ্গে শোভনদেব বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের হয়ত কিছু টাকা বেড়েছে। রাজ্যের টাকা না বাড়লেও কেউ খেতে পাবে না, এমনটা নয়। কিন্তু রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। এই অবস্থায় ডিএ দিতে দলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, আপনারাই বিচার করে দেখুন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিবের জন্য ভাববেন না কেবল সরকারি কর্মীদের জন্য ভাববেন।
মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতৃত্ব বলেন, সরকারি কর্মীদের টাকায় সরকারি প্রকল্প চলছে। এই বিষয়টা রাজ্য সরকারের প্রকাশ্যে বলে দেওয়াই ভালো।
একদিকে যখন ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, অন্যদিকে নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ তৃণমূল। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছেন সরকারি টাকা নয়ছয় করেছে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। সাধারণ মানুষের টাকা মেরেই দলের নেতাদের প্রতিপত্তি বেড়েছে। দ্বিগুন হয়েছে সম্পত্তির পরিমাণ। দুর্নীতিতে একের পর এক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা জেলবন্দি। বেড়েছে দলের অস্বস্তিও। এর মধ্যে মন্ত্রীর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্য সরকার খুব ভালোমতোই জানে, নিয়ম মেনে চললে মেলা, খেলা, উৎসব কোনওটাই হবে না।