কলকাতা: বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কলকাতার রাজপথে মিছিল হল। মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় পৌঁছল আন্দোলনের আঁচ। হাজরা মোড় (Hazra Crossing) থেকে শুরু হয়েছিল ডিএ (DA) আন্দোলনের মহামিছিল। শনিবার দুপুর ১টার সময় সেখান থেকে মিছিল শুরু হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশ দিয়ে মিছিল এগিয়ে যায়। আদালতের নির্দেশে এই রুটে মিছল করেছেন ডিএ আন্দোলকারীরা। এদিন ওই মিছিলে যোগ দিতে জেলা থেকে বাসে করে আসেন সরকারি কর্মচারীরা। কাতারে কাতারে সরকারি কর্মচারীরা মিছিলে জড়ো হয়েছিলেন। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয় হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিলের রুটে। মিছিল শেষে হাজরা মোড়ে একটি সভা হয়। সেখানে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস দলের নেতারা হাজির ছিলেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাজির ছিলেন। এদিন খাটে প্রতীকী মৃতদেহ শুইয়ে মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা।
শুভেন্দু অধিকারী সেখানে বলেন, ডিএ পেতে লাগাতার কর্মবরিতির পথে যেতে হবে। হকের লড়াই জিততে হবে আন্দোলনকারীদের। রাজ্যের অত্যাচারী শাসককে প্রাক্তন করতেই হবে। জীবন বাঁচিয়ে আন্দোলন করুন। ছিলেন কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান, কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী, এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার সোনালী গুহ। এদিন তিনি মঞ্চে বক্তব্যও পেশ করেন। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে এসেছি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন দলটা করুন। আপনাকে দরকার। তবে তবে এদিনের মিছিল নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বাইরে থেকে লোক এনে অসভ্যতামি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Murshidabad | Abhishek Banerjee | মুর্শিদাবাদে জনজোয়ারে ভাসলেন অভিষেক
আগেই ঠিক ছিল, ডিএ-র (DA) দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের (State Government Employees) মিছিল (Procession) হবে শহরের অন্যতম স্পর্শ কাতর এলাকা হরিশ মুখার্জি রোডে (Harish Mukherjee Road)। তিনটে বিকল্প রুট মিছিলের জন্য দিলেও তাতে সায় ছিল না মিছিলকারীদের। ৬ মে হাজরা (Hazra) দমকল কেন্দ্র থেকে হরিশ মুখার্জি রোড, ডিএন রোড ধরে ডান দিক দিয়ে আশুতোষ মুখার্জি দিয়ে এসপি মুখার্জি ধরে হাজরা মোড়ে এসে শেষ হবে। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা ওঠে। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা (Rajashekhar Mantha) বলেন, প্রতি একদিন অন্তর হাজরা মোড়ে (Hazra Crossing) ধর্না বিক্ষোভ হয়। হঠাৎ হরিশ মুখার্জি রোড নিয়ে আপত্তি কেন? রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয় ওটা খুব স্পর্শ কাতর এলাকা। তাতে বিচারপতি বলেন, যে রুট দেওয়া হয়েছে সেটা সবচেয়ে শান্ত এলাকা। এর প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার জানায়, ওই এলাকায় মিছিল করতে গিয়ে যদি ছড়িয়ে যায় ভিড় তার দায়িত্ব কে নেবে? ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikashranjan Bhattacharjee) বলেন, আমরা আবেদন করার পরে কিছু এলাকায় ৩ মে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। তাতে বিচারপতি বলেন, সবাই যে আশংকা করছে, সেটা কোর্ট বুঝতে পারছে। কোনও রকম অশান্তি হবে না সেই ভাবে মিছিল করতে হবে, বিকাশরঞ্জনকে উদ্দ্যেশ্য করে বলেন বিচারপতি। বেলা দুটো থেকে পাঁচটা নয়। বেলা একটা থেকে চারটে পর্যন্ত মিছিল করতে হবে। কুমন্তব্য করা যাবে না, শান্তি বজায় রেখে মিছিল করতে হবে।