নয়াদিল্লি: অবশেষে শীর্ষ আদালতে বিচারপতির দায়িত্ব নিচ্ছেন দীপঙ্কর দত্ত। বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন তিনি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে তাঁর শপথ নেওয়ার কথা। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তার নাম শীর্ষ আদালতের বিচারপতি পদের জন্য সুপারিশ করে কলেজিয়াম (Collegium)। ওই সময় দেশের প্রধান বিচারপতি (CJI) ছিলেন ইউ ইউ ললিত। গত ২৭ অগস্ট প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত (UU LALIT) দায়িত্ব নেওয়ার পরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দীপঙ্কর দত্তের নামই প্রথম প্রস্তাব করা হয়।
প্রধান বিচারপতি ছাড়াও ওই কলেজিয়ামের সদস্য ছিলেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কউল, বিচারপতি এস এ নাজির এবং বিচারপতি কে এম জোসেফ। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই কলেজিয়ামের তরফেই বিচারপতি দত্তের নাম প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু তারপর বেশ কিছুদিন যাবৎ কেন্দ্রের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)টালবাহানা চলে কলেজিয়ামের সুপারিশ নিয়ে। কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju) নিজেই কলেজিয়াম ব্যবস্থার সমালোচনা করেন। পাল্টা শীর্ষ আদালতের নতুন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন কেন্দ্রের ওই অবস্থান তাঁরা কোনওভাবেই মেনে নিচ্ছেন না।
অবশেষে স্নায়ুযুদ্ধের অবসান। সোমবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি পদে তাঁর শপথের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। ২০০৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta HC) বিচারপতি হন দীপঙ্কর দত্ত। বছর তিনেক আগে বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে বদলি হন তিনি। বোম্বে হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ভূষণ পি ধর্মাধিকারী অবসর নেওয়ার পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন বিচারপতি দত্ত। বোম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি হিসাবে তিনি হাই কোর্টের কাজের সময়ে বদল এনেছিলেন। কোভিড অতিমারির সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলেন তিনি।
দীপঙ্কর দত্ত (Dipankar Dutta) ২০৩০ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে থাকবেন। অবসরের সময় তিনিই হবেন সর্বোচ্চ আদালতের সব থেকে বয়স্ক বিচারপতি। তার আগে কলকাতার তাঁর বেশ কিছু মামলা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বীরভূমের পারুইয়ের রাজনৈতিক হিংসার মামলা।