গুজরাত: বিপর্যয়ের আগেই নতুন বিপর্যয়। বৃহস্পতিবার গুজরাতের (Gujrat) কচ্ছ উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone)। আর তার আগেই কেঁপে উঠল পশ্চিম ভারতের এই রাজ্য। বুধবার সন্ধ্যায় আচমকাই কেঁপে ওঠে গুজরাটের কচ্ছ উপকূল। এই পরিস্থিতিতে গুজরাতের মাথায় বড়সড় বিপর্যয়ের খাঁড়া ঝুলছে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদদের একাংশ।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়েছে, এদিন বিকেল ৫টা ৫ মিনিট নাগাদ এই ভূমিকম্প (Earthquake ) অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এদিনের কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৫। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল কচ্ছ জেলার ভাচাও এলাকা থেকে পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিম এবং দক্ষিণ পশ্চিম। যদিও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। তবে যে গতিতে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় এগিয়ে আসছে তাতে তাণ্ডব চলতে পারে গুজরাতের কচ্ছ এবং সৌরাষ্ট্র উপকূল এলাকায়। আর তার আগে এই ভূমিকম্প বিপদের বার্তা বহন করছে বলেই অনুমান।
সৌরাষ্ট্র এবং কচ্ছ উপকূলে তাণ্ডব চালানোর আশঙ্কা রয়েছে। পাকিস্তান লাগোয়া গুজরাতের কচ্ছ উপকূলের জাখাউ বন্দরে ১৫ জুন আছড়ে পড়তে চলেছে বিপর্যয়। এই মুহূর্তে অতি স্পর্শকাতর পরিস্থিতি রয়েছে গুজরাতের এই উপকূলবর্তী এলাকায়। ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়ের’ মোকাবিলায় কোমর বেঁধেছে গুজরাত প্রসাসন। সৌরাষ্ট্র, দ্বারকা এবং কচ্ছে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেখানে। গুজরাতের উপকূলে মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৭টি দল এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছেন তাঁরা। প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনীও।
আরও পড়ুন:Panchayat Election | পঞ্চায়েত ভোটের মুখেই আটক তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ
ইতিমধ্যেই গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। নাগাড়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে দ্বারকা, পোরবন্দর, রাজকোট, জামনগর, জুনাগড় এলাকায়। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে দ্বারকায় (১২১ মিলিমিটার)। কল্যাণপুরে ৯২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্রও উত্তাল আকার নিয়েছে। উপকূল এলাকা থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সাইক্লোন নিয়ে প্রস্তুতির মাঝেই আচমকা ভূমিকম্পে প্রশাসনও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যেই ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে গুজরাত সরকারের তরফে।প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ সেনার প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন।