কলকাতা: অবশেষে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেল ইডি । বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি জেলবন্দি অনুব্রতকে (কেষ্ট) রাজধানীতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দিল আসানসোলের সিবিআই আদালত।
গত ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর গরুপাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর বিরুদ্ধে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে হাজিরা সংক্রান্ত প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি হয়। কিন্তু তারপরও কেন তাঁকে দিল্লিতে হাজির করানো হল না, তা নিয়ে বুধবার প্রশ্ন তোলে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।অনুব্রত দিল্লি হাইকোর্টে রাজধানী যাত্রায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন।কিন্তু সেই মামলায় হাইকোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ না দেওয়া সত্ত্বেও গরু পাচারে অভিযুক্ত অনুব্রতকে দিল্লি আনতে বাধা কোথায়, ইডির কাছে জানতে চায় রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। এরপরই বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে সক্রিয় হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তার আগে দুবরাজপুর থানার একটি পুরনো মামলায় অনুব্রতকে বীরভূমে নিয়ে চলে যায় জেলা পুলিশ।প্রাক্তন এক তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ ছিল, অনুব্রত তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন। সেই পুরনো মামলা সূত্রে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নেয় জেলা পুলিশ। সাত দিন পুলিশ হেফাজতে কাটিয়ে তিনি আবার আসানসোলে সংশোধনাগারে ফেরেন।
আরও পড়ুন: Naosad Siddiqui: ৪০ দিন পর জামিন পেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি
এই মুহূর্তে আসানসোল সংশোধনাগারেই রয়েছেন অনুব্রত। ইডি সূত্রের খবর, সেখান থেকে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে আগামিকাল অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। গরুপাচারের তদন্ত মামলায় বড় মোড় হিসাবে মনে করছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়েছে অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ এনামুল হক এবং তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। আপাতত দুজনেই তিহার জেলে বন্দিজীবন কাটাছে।