ভাঙড়: কভাঙড়: বুধবার সকালে বিকট কেঁপে উঠল ভাঙড়ের (Bhangar) তালদিঘি। তারপরই এলাকার লোকজন দেখেন দাউ দাউ করে আগুন (Fire) জ্বলছে এলাকার একটি পোলট্রি ফার্ম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের দাবি শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় অবৈধ বাজি তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ন’জনের। এই আবহে আইএসএফের অভিযোগ, ওই পোলট্রি ফার্মে বোমা বানাতে গিয়ে আগুন লেগেছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ওই পোলট্রির মালিক সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। সে কারণেই তাঁর পোলট্রি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শাসকদলের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ভাঙড়ের মাধবপুরের তালদিঘি গ্রামের বাসিন্দা সাব আমিন মোল্লার পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। যদিও তার আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় আগুন আয়ত্তে আসে।
ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে আইএসএফ।
আরও পড়ুন: Haroa Incident | ফের উত্তপ্ত হাড়োয়া, গ্রাম দখলকে কেন্দ্র করে চলল গুলি-বোমা
ভাঙড়ের আইএসএফ নেতা গাজি সাহাজুদ্দিন সিরাজি বলেন, তালদিঘি গ্রামে পোলট্রি ফার্মে আগুন লেগেছ সেই সম্পর্কে ভালোভাবে খবর নিলেই জানতে পারবেন সেখানে বোমা বানানো হচ্ছিল। সেখানে বোমা বানানোর সামগ্রীতে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন লেগে যায়। এদের বিরুদ্ধে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করা উচিত। এই ঘটনায় শাসকদল লোক যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ আইএসএফ নেতার। তৃণমূল নেতা সনৎ সর্দার বলেন, পোলট্রি ফার্মে হঠাৎ আজকে আগুন লেগে যাওয়ার কারণটা সন্দেহজনক। ওই ব্যবসায়ী সক্রিয় তৃণমূলকর্মী। বিরোধীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
গত সোমবারই বোমার আঘাতে এক শিশু আহত হয়েছে ভাঙড়ের ফুলবাড়িতে। ওই দিন ফুলবাড়িতে আইএসএফের সভা শেষেই বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। আইএসএফের তরফে অভিযোগ করা হয়, তৃণমূল ওই বোমাবাজি করেছে।